নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( আড়াইহাজার প্রতিনিধি ) : আড়াইহাজারের কালাপাহাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় রুবেল নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। সে ওই এলাকার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ–সভাপতি রুপ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের হামলায় প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে। এসময় উত্তেজিত জনতা প্রতিপক্ষের প্রায় ২টি বসত বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পহেলা সেপ্টেম্বর শুক্রবার কালাপাহাড়িয়ার ৭ নং ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ এ ঘটনায় কাউকেই আটক করতে পারেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার স্থানীয় রাধানগর এলাকায় একটি মাঠে বসানো অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটে ইজারার টাকার হিসাব নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে নব্য আওয়ামী লীগের নেতা ফরিদ তার লোকজন নিয়ে রুবেলদের বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে। পরে তাকে দা ও ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়।
পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ফরিদ,বাদল মহিউদ্দিনসহ প্রায় ২টি বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। এসময় আতংকে পুরো এলাকার লোকজন এদিকওদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। ঘটনার পর পরই পুরো এলাকায় পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। ফের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুল পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জানা গেছে, নিহত রুবেল পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরী করতেন।
এদিকে, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আউয়াল মুঠোফোনে বলেন, তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। মঙ্গলবার দিন কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের রানাধানগর এলাকায় একটি অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারার টাকার হিসাব নিয়ে সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি ও নব্য আওয়ামী লীগের নেতা ফরিদ ও আওয়ামী লীগের নেতার রুপ মিয়ার ছেলে রুবেলের সাথে কথাকাটাকাটি হয়।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার দুপুরে পাঁচজন ইউপি সদস্যকে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান স্বপনের কাছে গিয়ে ছিলাম; যাতে বিষয় নিয়ে ঈদের জামাতে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। ঈদের পরে বিষয়টি মিমাংশ করার কথা ছিল। তিনি জানান, স্থানীয় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে এবিষয়ে অবহিত করা হয়েছিল। তাতে কোনো লাভ হয়নি। কিন্তু হঠ্যাৎ করেই অপ্রীতিকর এই ঘটনাটি ঘটে গেছে।
তিনি আরও জানান, আহত রুবেল পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি করতেন। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়িতে এসেছিল। তবে নিহতের পরিবারের কারোর সাথে এ ব্যাপারে কথা বলা সম্ভব হয়নি। কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপন রুবেলের মৃত্যুর বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন।
আড়াইহাজার থানার ওসি এমএ হক বলেন, রুবেল নামে আহত একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়েছে। এসময় দুটি ঘর পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।