নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের সাবেক এমপি শামীম ওসমান ও ভাতিজা আজমেরী ওসমানের শহরের ১১নং ওয়ার্ড খানপুর বিড়ি গেইট সংলগ্ন মাছুয়াপাড়া এলাকার মৃত ওমর আলীর পুত্র ওসমান আলী বিল্পব গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর এবার ভোল পাল্টে বিএনপির রাজনীতিতে অনুপ্রবেশ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের উপর অস্ত্র হাতে সরাসরি হামলা চালিয়েছিলো এই বিপ্লব। তবে, সরকার পতনের পর এই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী রাতারাতি নিজের ভোল্ট পাল্টে বনে গেছেন বিএনপির কর্মী।
জানাগেছে, একসময়ে মাছ বিক্রী করে জীবিকা নির্বাহ করে চলতো ওসমান আলী বিপ্লব। হঠাৎ আজমেরী ওসমানের ছত্রছায়ায় এসে রাতারাতি পাল্টে যেতে থাকে তার চলাফেরা। ধীরে ধীরে পরিচয় পেতে থাকে আজমেরী ওসমানের কাছের লোক হিসেবে। এরপর আর ফিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি মাদক ব্যাবসা থেকে শুরু করে সকল সেক্টর নিজের আয়ত্বে নিয়ে নেয় সে। এমনকি রিবারভিউ মার্কেটের দাকান মালিক ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেও নিয়মিত হারে চাঁদা আদায় করতো এই বিপ্লব। তার ভয়ে সাধঅরন ব্যবসায়ীরা মুখ খুলতে সাহস পেতোনা। চাঁদার টাকায় গড়ে তুলে সম্পদের পাহাড়। সর্বশেষ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯ শে জুলাই সাধারন শিক্ষার্থীদের ওপর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের যে প্রকাশ্য হামলা হয় সেই হামলায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে প্রকাশে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি ছুড়ে ওসমান আলী বিপ্লব। তবে সরকার পতনের পর বিএনপির কিছু নামধারী নেতাদের সাথে সখ্যতা করে এলাকায় প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে এই সন্ত্রাসী। এতে করে জনমনে অতঙ্কের পাশাপাশি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কিভাবে স্বৈরাচার সরকারের আমলের একজন সন্ত্রাসী বর্তমানে স্বাধীন দেশে প্রকাশ্যে এলাকায় বুক ফুলিয়ে চলাফেরা করে।
এদিকে, ১১নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, আজমেরী ওসমানের এই ওসমান আলী বিল্পব এলাকার প্রভাবশালী বিএনপির সাবেক কাউন্সিলরের পুত্রের সাথে সখ্যতা গড়ে এলাকায় নানা রকম অপরাধ কর্মকান্ড চালাচ্ছে। এতে আমরা বিব্রতবোধ করছি। এখনও নির্বাচন অনেক দূর। এরা হচ্ছে অনুপ্রবেশকারী দলের সাথে মিশে বিএনপির নাম ব্যবহার করে অপকর্ম করে বিএনপির সুনাম নষ্ট করছে। আমাদের নেতা তারেক রহমান সকল নেতৃবৃন্দকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলের ভিতর কোন অনুপ্রবেশকারীদের ঠাই দেয়া চলবে না। সচেতন ওয়ার্ড বিএনপির নেতা কর্মীরা জেলা ও মহানগর বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দকে উক্ত বিষয়টির তদন্তপূর্বক দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানিছেন। তা না হলে বিএনপির সুনাম ক্ষুন্ন হবে বলে মত প্রকাশ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।