নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (নিজস্ব প্রতিনিধি) : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা। রবিবার রাত ৮টায় বন্দর থানাধীন নোয়াদ্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় বিবাদীদের হামলায় ৪জন আহত হয়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে থানা পুলিশ ৩জনকে গ্রেপ্তার করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শহিদুল্লাহ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছে। যার নং-১৪, তারিখ ১১/১১/২০২৪ইং। আটককৃতরা হলো, বন্দর এলাকার ওমর ফারুক, মিসর, আবির। সোমবার (১০ নভেম্বর)বিকালে তাদেরকে আদালতে নিলে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
ভুক্তভোগীর অভিযোগে জানা যায়, বিবাদী ১. মহসিন (৩৫), পিতা-হাজী সামসুল হক, ২. মনিকা আক্তার (৩০), স্বামী-মহসিন, ৩. মাসুদ (৪০), পিতা-হাজী সামসুল হক, সর্ব সাং-নোয়াদ্দা, ৪. ওমর ফারুক (৪০), পিতা-মৃত আঃ হামিদ, ৫. আনোয়ারা (৩০), স্বামী-ওমর ফারুক, ৬. মোঃ মিশর (২৫), ৭. আবির (২২), উভয় পিতা- ওমর ফারুক, অজ্ঞাতানামা ৪ থেকে ৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। উল্লেখিত ১ হতে ৩ নং বিবাদীদের সাথে তার জমি জমা ও বসত বাড়ীর সিমানা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পূর্ব থেকে বিরোধ চলছিল। এলাকার পঞ্চায়েত দীর্ঘদিন যাবৎ বসত বাড়ীর সিমানা মাপিয়া ঠিক করিয়া দিলেও ১ হইতে ৩ নং বিবাদীগন তা না মেনে ভুক্তভোগীর বসত বাড়ীর সিমানায় জোরপূর্বক দখলে রেখেছে। তাদের কিছু বলতে গেলে বিবাদীগন শহিদুল্লাহকে বিভিন্ন সময় হুমকি প্রদান করতো।
১নং আসামী ইতোপূর্বে শহীদুল্লাহর সীমানা প্রাচীর প্রকাশ্য দিবালোকে ভেঙে ফেলেছে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত শহীদউল্লাহ আদালতে মামলাও করেছেন। যা এখন বিচারাধীন। এসব বিবাদের জের ধরে ১নং আসামী ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় এই মামলায় ধৃত আসামী ওমর ফারুক এবং স্ত্রী আনোয়ারা ছেলে মিশর এবং আবীরসহ অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের নিয়ে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে এই হামলা ও ভাংচুর করে। এতে নোয়াদ্দা এলাকাবাসীসহ আশেপাশের অসংখ্য জনতা শহীদউল্লাহসহ তার পরিবারের সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা ভাংচুরের প্রতিবাদ জানালে উল্লেখিত বিবাদীরা তাদের উপরও হামলা করে। এতে উপস্থিত জনতা উত্তেজিত হয়ে বিবাদীদের হামলার জবাব দিতে গেলে ওরা নিকটস্থ সালাম মিয়ার বসতঘরে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে পুলিশ এসে বিবাদী ৩জনকে গ্রেপ্তার করে।
ভুক্তভোগী শহিদুল্লাহ বলেন, বিবাদীগন আমাকে ও আমার স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম (৫৫) কে এলোপাথারী মারধর করেছে। আমার ডাক চিৎকার শুনিয়া আমাকে বাচাতে আমার প্রতিবেশী সাজু (১৮), সাজ্জাদ (২৪), রাশেদ (৩৮), ঋতু (৩৫), সিনহা (১৪), ওয়াজেদ (১৭), শাহিন (৪০) গন আগাইয়া আসলে সকল বিবাদীগন ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের হাতে থাকা কাঠের ডাসা, লোহার রড দিয়া তাদেরও মারধর করে। বিবাদীরা আহত রাশেদের বাড়ীর থাই গ্লাস ও ভাংচুর করে এবং আনুমানিক ৩০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করে। একপর্যায়ে আসামীরা আমার ঘরে থাকা ৩টি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, যাহার মূল্য অনুমান ৮০ হাজার টাকা এবং ০২ টি স্বর্ণের চেইন যাহার মূল্য অনুমান ২, লক্ষ ৩০ হাজার টাকা এবং নগদ ৪৫ হাজার ৭শত টাকা লুট করে নেয়।