প্রজেক্ট হিলসার বাবুর্চিরা টয়লেটের পর ব্যবহার করেন না সাবান !

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্টার ) : পদ্মার আভিজাত্য আর ঐতিহ্যের প্রতীক জাতীয় মাছ ইলিশ। রাজধানীর অদূরে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ইলিশ মাছের আদলে নির্মিত প্রজেক্ট হিলসা রেস্তোরাঁ। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কারণে দ্রুত পরিচিতি প্রাপ্ত এ রেস্তোরা। ইলিশ মাছের আদলে নির্মিত রেস্তোরাঁটি আলোচনায় থাকলেও বেশ সমালোচনা-অভিযোগও রয়েছে এ রেস্তোরার বিরুদ্ধে। এছাড়া এ রোস্তোরার খাবাররের মানের চেয়ে দাম বেশি রাখারও অভিযোগ রয়েছে। এতসব অভিযোগের পর এবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযানেও উঠে আসল গুরুতর অনিয়মের চিত্র।

১৬ই জুন বুধবার দুপুরে প্রজেক্ট হিলসায় অভিযান পরিচালনা করে মুন্সিগঞ্জ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর তাদের অভিযান পরিচালনা শেষে প্রমাণসহ অভিযোগ করেন, রেস্তোরাঁটির বাবুর্চি ও কর্মচারীদের টয়লেটের পর সাবান ব্যবহার করেন না।

অভিযানের পর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর আরো জানায়, রেস্তোরাঁটিতে অতিথিদের টয়লেটে সাবান বা হ্যান্ড ওয়াশের ব্যবস্থা থাকলেও বাবুর্চি ও স্টাফদের টয়লেটে কোনো সাবান পাওয়া যায়নি। টয়লেট শেষে বাবুর্চি ও স্টাফরা সাবান ব্যবহার করছিলেন না। শুধু পানি দিয়েই হাত পরিষ্কার করছিলেন। এছাড়া রান্না ঘর পরিষ্কার থাকলেও ফ্রিজে কাঁচা মাছ-মাংসের সঙ্গে রান্না করা খাবারও মজুত রাখা হয়েছিল। যা ঠিক নয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর জানায়, বিএসটিআইয়ের অনুমোদনহীন বিপুল পরিমাণের সস ও নুডলস পাওয়া গেছে। এসব পণ্যের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিএসটিআইয়ের অনুমোদন লাগবে। এক-দেড় হাজার মানুষের জন্য রান্না করার মতো খাবার মজুত ছিল। অর্থাৎ, এসব খাবারের মধ্যে বিএসটিআইয়ের অনুমোদনহীন সস, নুডলস ছিল।

তাদের এমন অনিয়মের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকারের এক কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু তারা অল্প কিছুদিন আগে রেস্তোরাটি শুরু করেছে, তাই তারা আইনকানুন সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে অবগত নন। তাই প্রথম অবস্থায় নিয়ম কানুন জানানো হয়েছে। প্রথমবারের মতো তাদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে নিয়ম অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মুন্সিগঞ্জের পদ্মা নদীর কাছে নির্মিত ইলিশ মাছের আদলে প্রজেক্ট হিলসা রেস্তোরাঁটি চালু হয়। এর পর থেকেই লোকজন আসতে শুরু করেন রেস্তোরাঁটিতে। বিশেষ করে ছুটির দিনে লোকজনদের হুমড়ি খেয়ে পড়া ঢল দেখা গেছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত