নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের পুলিশি হয়রানি ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শফিকুল ইসলামের উপর হামলা চালিয়ে গুলি বর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত অভিযোগ মামলা হিসেবে রুজু করার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
ডেমরা- রূপগঞ্জ-কালীগঞ্জ সড়কের পূর্বগ্রাম এলাকায় আজ ১৪ মার্চ রবিবার কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীসহ বিপুল সংখ্যক নারী পুরুষ এ মানববন্ধনে অংশ নেয়। আগামী ৩দিনের মধ্যে তাদের দায়েরকৃত অভিযোগ মামলা হিসেবে রুজু করা না হলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপসী এলাকায় অবরোধসহ বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে তারা হুমকি দেয়।
পূর্বগ্রাম উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত মানববন্ধনপূর্বক সভায় সভাপতিত্ব করেন কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও আসন্ন কায়েতপাড়া ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব মোঃ জাহেদ আলী। সভায় বক্তব্য রাখেন কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বজলুর রহমান, রূপগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, উপজেলা সে¦চ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মেহের, সাধারণ সম্পাদক নাঈম ভুঁইয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিকদার, সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ ভুঁইয়া মাছুম, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ফেরদৌসী আক্তার, সাধারণ সম্পাদক সেলিনা আক্তার রিতা, আওয়ামীলীগ নেতা রবি রায়, নাজমা খান, আশিক ইকবাল ও নূর জাহান প্রমুখ।
এ সময় সভায় বক্তারা বলেন, আসন্ন কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ জাহেদ আলীর কর্মী-সমর্থকদের পুলিশ প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে। রাতের আধাঁরে তাদের বাড়ি বাড়িগিয়ে পুলিশ হানা দিচ্ছে।তাদের আটক করেছে। আবার টাকার বিনিময়ে আটককৃতদের ছাড়াতে হচ্ছে।
গত ৮ই র্মাচ সন্ধ্যায় আসন্ন কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোয়ন প্রত্যাশী ও কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ জাহেদ আলীর সমর্থনে উঠান বৈঠকসহ নির্বাচনীকাজ শেষে ঢাকার বাসায় ফিরে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শফিকুল ইসলামের উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা শফিকুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে দুর্বৃত্তরা শফিকুল ইসলামকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গাড়ির গ্লাস ভেদ করে চলে যায়। মুমূর্ষ অবস্থায় শফিকুল ইসলাম (৩৫) ও তার গাড়ী চালক তারেককে (২৮) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৪ জনকে আসামী করে রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অভিযোগটি ১৪ মার্চ বিকাল পর্যন্ত মামলা হিসেবে রুজু করেনি পুলিশ। আসামীদের সঙ্গে ওসির সুসম্পর্ক থাকায় পুলিশ অভিও আগামী ৩দিনের মধ্যে ওই অভিযোগ মামলা হিসেবে রুজু করা না হলে ঢাকা-সিলেট-কালীগঞ্জ মহাসড়কের রূপসী এলাকায় অবরোধসহ বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মহসিনুল কাদির পুলিশের হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।