নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্ট ) : ইরাকে দুটি মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ১২টির বেশি ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর। পেন্টাগনের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ইরবিল ও আল-আসাদ বিমান ঘাঁটিতে মিসাইল হামলা হয়েছে। ইরান থেকেই মিসাইলগুলো নিক্ষেপ করা হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে বাগদাদে এক ড্রোন বিমান হামলায় কুদস বাহিনীর প্রধান লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র স্টেফ্যানি গ্রিশাম বলেছেন, ইরাকে মার্কিন সেনাদের অবস্থানে হামলার খবর সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জানানো হয়েছে। তিনি পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং তার জাতীয় নিরাপত্তা টিমের সঙ্গে পরামর্শ করছেন।
ইরানের বিপ্লবী গার্ড জানিয়েছে, শুক্রবার জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যাকাণ্ডের জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা’য় বিপ্লবী গার্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সব মিত্রদের সতর্ক করে দিচ্ছি, যারা আমেরিকার সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীকে তাদের ঘাঁটি দিয়েছে, যেসব অঞ্চল থেকে ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালানো হবে সেগুলোই লক্ষ্যবস্তু হবে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ভোরে ইরাকে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন মেজর জেনারেল সোলেইমানি। তিনি ইরানি সেনাবাহিনী ইসলামি বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের প্রধান ছিলেন।
ইসরায়েলি হামলা ও আধিপত্যের বিরুদ্ধে হামাসকে সহায়তা দিত সোলেইমানির কুদস বাহিনী। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে মার্কিন শক্তি ও ইসরায়েলের আতঙ্ক হয়ে উঠেছিলেন এই ইরানি জেনারেল। এ ছাড়া সিরিয়া যুদ্ধে আসাদ সরকারকে সহায়তা ও আইএস নিধনে ভূমিকা রাখেন তিনি।
ওই হামলায় সোলেইমানিসহ নিহত হন অন্তত ১০ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইরাকি মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহদি আল-মুহান্দিসও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে এই হামলা চালানো হয়। সূত্র : সময়ের কন্ঠস্বর