নারায়ণগঞ্জ র্বাতা ২৪ : গিয়াস, শাহ আলমের পর এবার তৈমুরের বিষফোঁড়া মনিরুল আলম সেন্টু এখন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। নির্বাচনী গন সংযোগে বিভিন্ন এলাকার ওঠান বৈঠকে উন্নয়নের ক্ষেত্রে এমপি শামীম ওসমানের ভূয়সী প্রশংসা করে বক্তব্য রাখছেন তিনি।এর আগে উন্নয়নের অগ্রদূত হিসেবে শামীম ওসমান কে “পীর” খ্যাতি দেয়ায় বিএনপি শিবিরে সমালোচিত হন সেন্টু। ইউপি নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতিক না নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বিএনপি থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত ফতুল্লা থানা বিএনপি’র সিনিয়র সহ সভাপতি মনিরুল আলম সেন্টু নিজকে এখন আমজনতার নেতা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। বিএনপি থেকেঅব্যাহতি দেয়া হলেও এ ব্যাপারে তিনি উদ্বিগ্ন নয় বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন ওঠান বৈঠকে সেন্টু ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলছেন,উন্নয়ন হচ্ছে জনগনের কল্যানের জন্য।এখানে কোন রাজনীতি নেই,নেই কোন দলাদলি। রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন ও জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য শুধু কুতুবপুরেই এমপি শামীম ওসমান ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।২/১ বছরের মধ্যে কুতুবপুরে আরসিসি ঢালাই ছাড়া কোন রাস্তা থাকবে না।এমপি সাহেব বলেছেন,উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই। আমার এলাকার চেয়ারম্যানগন আমার সাথে থাকুন, আমি এলাকার উন্নয়ন করবো।
ইউপি নির্বাচন প্রসংগে সেন্টু বলেন, ইউপি নির্বাচনে এমপি শামীম ওসমানের ভূমিকা নিরপেক্ষ তা সকলে জানেন। তিনি নির্বাচনে কোন প্রভাব বিস্তার করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জনগন যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন তিনিই হবেন জন প্রতিনিধি। পেশী শক্তি দিয়ে কেউ জন প্রতিনিধি হতে পারবে না বলে তিনি জানিয়েছে বলে সেন্টু জানান।
কুতুবপুরবাসীর উদ্দেশ্যে সেন্টু বলেন, আপনার বিগত সময় আমার পরীক্ষা নিয়েছে। আমি যদি আপনাদের বিবেচনায় উর্ত্তীণ নাও হই, তাহলে আগামী ৫ বছরের জন্য আবার আমাকে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ করে দেবেন।অসমাপ্ত কাজ গুলো সমাপ্ত করতে হলে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। ব্যালেট এর মাধ্যমে অতীতের মতো আমাকে কুতুবপুরের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আপনার পুরানো প্রতিক আনারসে ভোট দেবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
উল্লেখ্য, কুতুবপুর ইউনিয়নের পর পর দু’বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সেন্টু। দলীয় সমর্থন না পেয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয় মনিরুল আলম সেন্টু।এবারও তিনি পেয়েছেন আনারস প্রতিক।প্রথম দফায় সুলতান মোল্লা কে দলীয় সমর্থন দেন সাবেক এমপি মু,গিয়াস উদ্দিন,দ্বিতীয় দফায় পান্না মোল্লা কে দলীয় সমর্থন দেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি মোঃ শাহ আলম।দু’বার সেন্টু কে প্রত্যাখান করা হয়।তবে এবার দল থেকে প্রত্যাখিত করলেন তৈমুর আলম খন্দকার।