যেসব অ‌ভিপ্রায় ব্যক্ত কর‌লেন এম‌পি শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসে প্রথমবারের মত বৃহত্তম ঈদ জামা‌তে নানা অ‌ভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন নারায়ণগঞ্জ- ৪ ( ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ ) আসনের সাংসদ শামীম ওসমান । তিনি বলেছেন, আমি গত রমজানে দেখেছি মানুষ অনেক কষ্ট করে এই ঈদের জামাত আদায় করেছে। তাই আমি আমর বন্ধু বান্ধব ও কিছু ইসলামিক চিন্তাবিদকে সঙ্গে নিয়ে একটি সহি, সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন ঈদ জামাত আয়োজনের পরিকল্পনা করেছিলাম।

আজ আমি সকলের ভালোবাসা ও সাহায্যের ফলস্বরূপ হিসেবে এই জামাতটির আয়োজন করতে পেরেছি। এবারের ঈদ জামাত নারায়ণগঞ্জ জেলার বৃহত্তর জামাত হয়েছে। আগামী ঈদুল ফিতরে খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামকেও এই জামাতের সাথে সংযুক্ত করা হবে। প্রথমবার করেছি তাই একটু ত্রুটি থকতেই পারে। কিন্তু সামনে আমরা যেই ঈদের জামাত আয়োজন করবো আল্লাহর রহমতে কোনো ত্রুটি থাকবে না।  ২২ আগষ্ট বুধবার সকালে মাসদাইর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে নারায়ণগঞ্জের মতো স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান আরো বলেন, আমি জেলা প্রশাসনের সমস্ত কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাই তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারনেই আজ এই বিশাল আয়োজন সফল হয়েছে। ধন্যবাদ জানাই নারায়ণগঞ্জের প্রত্যেকটি ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ভাইদের যারা এই জামাতে অংশ নিয়েছেন।

এই জামাতে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, র‌্যাব সহ গোয়েন্দা কর্মকর্তারা নজর রেখেছে পাশাপাশি সি.সি, টিভি ক্যামেরার ব্যাবস্থাও আছে। আর এর জন্য আমার বড় ভাই সেলিম ওসমান আমাকে সাহায্যে করেছে। আগামী ঈদে আমরা এই জামাতের মুসল্লি ধারন ক্ষমতা আরো বাড়াবো।

তিনি বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জের ৭০০ মসজিদের ইমামদের বলেছি। আমি নারায়ণগঞ্জের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের বলেছি আসেন আমরা একসাথে ঈদের জামাত আদায় করি সারা বছর তো আমরা কতো মরামারি কাটা কাঁটি করি কিন্তু আসেন আমরা এই ঈদের জামাতটা এক সাথে আদায় করি এবং আমি তা পেরেছি।

শামীম ওসমান আরো বলেন, আগামী রমজনের আগে আমরা চেষ্টা করবো এই ঈদগাহ ময়দানের সকল কাজ শেষ করার। আমি দেখেছি সৌদি আরবে রমজান মাসে মুসল্লিদের সুন্দর ভাবে হাত ধরে ইফতার করতে নিয়ে যাওয়া হয়। আমি মনে করি সবার তো আর সেখানে যাওয়ার সৌভাগ্য হয় না ।

তাই এইখানেই আমরা সকলে সম্মিলিত ভাবে যারা সমাজে বৃত্তবান আছে সবাকে নিয়ে পুরো রমজান মাস জুড়ে ইফতারের ব্যাবস্থা করার। চেষ্টা করবো যাতে গরীবরা অন্তত ইফতারটা এখানে ভালো ভাবে করতে পারেন।

উল্লেখ্য, স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতে অংশ নিতে সকাল ৭টা থেকে আসতে শুরু করে মুসল্লিরা। প্রথমে ঈদগাহ মাঠ ভরে গেলে সামছুজ্জোহা স্টেডিয়ামে জামাজের কাতারে দাঁড়িয়ে যায় মুসল্লিরা।

স্টেডিয়ামও পূর্ণ হয়ে গেলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের দাঁড়িয়ে জামাতে অংশ নেয় মুসল্লিরা। এতে ইমামতি করেন নগরীর চাষাঢ়া নূর মসজিদের খতিব মো. আব্দুস সালাম।

নামাজের শেষে খতিব মো. আব্দুস সালাম দেশ জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন। এসময় গুনাহ মাফের জন্য দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন মুসল্লিরা।

প্রথমবারের মতো বৃহৎ এ জামাতে অংশ নেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান এবং জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়াসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনের নের্তৃবৃন্দসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা শ্রেণীপেশার মানুষ এই ঈদ জামাতে অংশগ্রহণ করেন।

add-content

আরও খবর

পঠিত