নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : নিত্য কলহে জর্জরিত,চিরচেনা ও পারামহল্লা ছাড়িয়ে আদালত পারায় গড়া অশান্তি পরিবার হিসেবে পরিচিত এক দম্পতির পূর্নবাসন করে অন্ধকার কাটিয়ে আলোর পথ দেখালেন, দেশের গ্যাজেটভুক্ত সমাজসেবক লায়ন মোজাম্মেল হক্ব ভুইয়া।
শুধু তাই নয়, সুস্থ্য জীবনে ফিরিয়ে আনতে পরিবারটিকে বসত ঘর নির্মাণ ,কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেন তিনি। এমনি এক ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার মোগড়াকুল এলাকায়।
মোগড়াকুল এলাকার বাসিন্দা মো. ইউসুফ আলী জানান, ৭ বছর পূর্বে একই এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুল জলিল (রনি) এর সাথে তার মেয়ে পারভীন আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর পরিবারের সম্মতিতে থেকেই অসৎসঙ্গ নিয়ে মাদক সেবন ও বিক্রিতে জড়িয়ে পরে। এতে বাঁধা দিলেই স্বামীসহ শ্বশুর শ্বাশুরী মিলে নির্যাতন করতো। এছাড়াও তার মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক হিসেবে দিলেও শান্তি ফিরে নি তার। স্বামী জলিল মাদকসেবনে অভ্যস্থ হয়ে পড়লে সাংসারিক অশান্তি আরো বেড়ে যায়।
তিনি আরো জানান, সুমী আক্তার মীম (৫) নামে তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তথাপিও কোন প্রকার কাজ না করে মাদকসেবন চালিয়ে যাচ্ছিল। কারণ হিসেবে জানা যায়, অভাব অনটনের শিকার হওয়ায় এ করুন পরিণতি । স্থানীয়রা এ পরিবারটিকে অশান্তি পরিবার হিসেবে চিনে। এরমাঝে কয়েকবার তার মেয়ে পারভীনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পিত্রালয়ে পাঠায়। এসব নানা কারনের অশান্তির শেষ ছিল না। এসব বিষয়ে নিয়ে স্থানীয় শালিস মিমাংসা ও আদালত পারায় মামলা গড়ালেও তাদের অশান্তি আরো বেড়ে যায়। এসব বিষয়ে মানবাধিকার কমিশন নারায়নগঞ্জ উত্তর শাখার সভাপতি বাংলাদেশের গেজেটভুক্ত সমাজসেবক আলহাজ্ব লায়ন মো. মোজাম্মেল হক ভুইয়ার দারস্থ হন পরিবার।
এ সময় তিনি ভোক্তভুগী উভয়পক্ষকে ডেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আপোষ মিমাংসা করে দেন। নিজ তহবীল থেকে মাদকাসক্ত ছেলেকে মাদক ছেড়ে দেয়ার শর্ত জুরে দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি টিনের ঘর তৈরি করে দেন। এতে শান্তি ফিরে আসে জলিল পারভীনের পরিবারে।
এ বিষয়ে গ্যাজেঁটভুক্ত সমাজসেবক লায়ন মোজাম্মেল হক ভুইয়া বলেন, সমাজসেবা আমার নেশা। আমার দ্বারা একটি মুখ যদি হাসি পায় আমার জীবন তাতেই স্বার্থক।