নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে চাঁদাবাজিকালে ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। এসময় তাদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের ৯৮,৬০০টাকা, চাঁদা আদায়ের রশিদ বই ও চাঁদাবাজিতে ব্যবহৃত ইঞ্জিনচালিত নৌকা জব্দ করা হয়। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টায় উপজেলার তারাব এলাকায় শীতলক্ষার সুলতানা কামাল ব্রীজের নীচে র্যাব-১১ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করেন।
গেফতারকৃতরা হলেন- মো. নূর আলম ভূইয়া(৪৯), মন মোহন বিশ্বাস (৩৫), মো. ইলিয়াস ফকির (৪৩), মো. সোহানুর রহমান ওরফে সুমন প্রধান (২৫), মো. ওমর ফারুক (৩৪)।
র্যাব-১১ এর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে একটি অসাধুচক্র রূপগঞ্জের তারাব এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে চলাচলরত নৌযানগুলোকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক থামিয়ে চাঁদা আদায় করে আসছে। র্যাব-১১ এর অনুসন্ধানে নৌপথে চাঁদাবাজি সংক্রান্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টয় তারাব সুলতানা কামাল ব্রীজ এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে নদীতে চলাচলরত নৌযান হতে বিশেষ করে কয়লা, পাথর ও বালুবাহী বাল্কহেড হতে জোরপূর্বক থামিয়ে চাঁদা আদায়কালে উপরোক্ত ০৫ জন আসামীকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয় । তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন নৌযান হতে চাঁদা আদায়ের ৯৮,৬০০টাকা ও চাঁদা আদায়ের ০৮ টি রশিদ বই উদ্ধার করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত নুর আলম ভূইয়া নিজেকে বিআইডব্লিউটিএ এর ইজারাদার দাবী করে একটি শুল্ক আদায়ের অনুমতি পত্র ও ১টি চুক্তিপত্র প্রদর্শন করে। অনুমতি পত্রে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে নদী পথে চলাচলরত নৌযান হতে কোন প্রকার শুল্ক আদায় করা যাবে না। এবং চুক্তিপত্রে উল্লেখ রয়েছে- বিআইডব্লিউটিআই এর ঘাট বা পল্টুন ব্যবহার করে ৫০০ টন পর্যন্ত মালামাল লোড-আনলোড করলে সবোর্চ্চ ২০০ টাকা র্চাজ নিতে পারবে। কিন্তু এই অসাধু চক্র সব নীতিমালা লঙ্ঘন করে দীঘদিন ধরে নৌপথে চাঁদাবাজি করে আসছে। সিলেট থেকে পাথর কয়লা ও বালুবাহী বাল্কহেড গুলো শীতলক্ষ্যা নদী দিয়ে নরসিংদী, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ সহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করে থাকে। এই নৌ-যান গুলো অত্র এলাকায় পৌছলে তারা নৌ-শ্রমিকদের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করে আসছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।