ধানের দরপতনে লোকসানের মুখে নওগাঁর কৃষকরা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নওগাঁ প্রতিনিধি ) : সপ্তাহের ব্যবধানে নওগাঁয় প্রতিমণ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কম দরে ধান কিনছেন মিলাররা। ধানের ব্যাপক দরপতনের জন্য আবহাওয়াকে পুঁজি করছেন ব্যবসায়ীরা। কৃষকরা বলছেন, একে তো প্রাকৃতিক দুর্যোগে এবার ধানের ফলন কম তার ওপর এমন দরপতনে বড় ধরনের লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের । কৃষক পর্যায়ে ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে বাজার মনিটরিং দাবি করেছেন কৃষকরা। তবে জেলা প্রশাসন বলছে ধানের দরপতনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নওগাঁর মহাদেবপুরের হাটে দুই মণ ধান নিয়ে আসার পর মোস্তাফা, ৫০০ টাকা মণ দরে বেপারির কাছ থেকে ১ হাজার  টাকা পেয়েছেন তিনি। বাজারের লম্বা তালিকার সাথে ধান বিক্রির টাকা হিসাব মিলাতে মোস্তফার কপালের ভাঁজ রেখা বড় হয়ে ওঠে । একই অবস্থা ধান বিক্রি করতে আসা অন্য কৃষকদের। সপ্তাহের ব্যবধানে নওগাঁর হাটগুলোতে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা মণপ্রতি কম দরে চলছে ধান কেনাবেচা।

কৃষক পর্যায়ে ধানের সরকারি দরের চেয়ে অর্ধেক দামে চলছে এসব হাটে কেনা-বেচা। এমন দরপতনে কৃষকদের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। ধানের হঠাৎ দর পতনের জন্য আবহাওয়াকে পুঁজি করলেও কৃষকরা বলছেন, ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে ন্যায্য মূল্য থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।

তারা বলেন, ধান বিক্রি করে আমাদের লেবার খরচ ও উৎপাদন খরচ উঠবে না। আমরা অর্থনৈতিকভাবে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

নওগাঁর ধানের বড় কয়েকটি হাব মহাদেবপুর, মধুইল, আবাদ পুকুর ঘুরে দেখা গেছে হাইব্রিড জাতের ধান ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, মিনিকেট প্রকার ভেদে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে। অথচ এক সপ্তাহ আগে এসব ধানের মণ প্রতি ২০০ টাকা বেশি ছিল। ধান ভেজা থাকায় দরপতনের অজুহাত ব্যবসায়ীদের।

নওগাঁর মহাদেবপুরের চাউল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, কোয়ালিটি খারাপ হওয়ার কারণেই ধানের দাম অনেক কমে গেছে।

নওগাঁ স্পেশাল ইকোনোকি জোনের পরিচালক নিপেন মজুমদার বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যে ক্ষতি সাধিত হয় তা সমাধান করার জন্য নানা উপায় এখন চলে এসেছে।

কৃষক পর্যায়ে ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা না হলে উৎপাদনে উৎসাহ  হারাবে কৃষক তাই বাজার মনিটরিং জোরদার করার দাবি করেছেন মহাদেবপুরের উপজেলা চেয়ারম্যান  মো. আব্দুস সাত্তার নান্নু।

এ অবস্থায় ব্যবসায়ীরা যাতে সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে সে লক্ষে বাজার তদারকি করার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান।

কৃষক পর্যায়ে হাজার ৪০ টাকা মন দরে ধান কেনার সরকারি ঘোষণা দেয়া হলেও জেলা খাদ্য বিভাগ জানায় পরিপত্র না পাওয়ায় শুরু করতে পারছেন না এ কার্যক্রম।

add-content

আরও খবর

পঠিত