নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, আসার পথে দেখলাম হকারদের আন্দোলন চলছে। সমস্যা হলো হকারদের একবার বসতে দিলে তারা আর উঠতে চায় না। বঙ্গবন্ধু সড়ক ব্যতিত খানপুর কিংবা অন্য কোন সড়কে হকারদের বসার আলোচনা করা যেতে পারে। এর বেশি চাইলে ভালো হবে না। তবে পরিষ্কার কথা, বঙ্গবন্ধু সড়কে হকার বসতে পারবে না। কয়েক শত মানুষের জন্য লাখো মানুষের দুর্ভোগ কখনো মেনে নেওয়া যাবে না। তবে জনগণের সুবিধার্থে ঈদ উপলক্ষ্যে রোজার মাসের ৪ শুক্রবার বাদ জুম্মা বা বিকেল ৫ টার পরে তাদের বসার বিষয়ে মেয়রের সাথে আলোচনা করা যেতে পারে। ৬মে রবিবার দুপুরে সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আসন্ন রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষা, নিরাপদ খাদ্য, ভেজাল, দূষন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি রোধ ও যানজট নিরসন সম্পর্কিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পবিত্র রোজার মাস কে ব্যবসায়ের মাস হিসেবে গণ্য না করে ঈমানের সাথে ব্যবসা করুন। হারাম দিয়ে সেহরি-ইফতার থেকে বিরত থাকুন। দূর্ণীতির আশ্রয়ে জনগণের দুর্ভোগ হয়ে না দাড়ানো জন্য প্রতিটি শাখার ব্যবসায়ীদের কাছে বিনীত অনুরুধ জানাচ্ছি। অন্যথায় আইনের প্রয়োজনে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ হবে। এক্ষেত্রে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। সকলে সচেতন হলে প্রশাসনের কোন কাজ করতে হবে না। পবিত্র রমাজান মাসকে রোজাদার নগরবাসীর যানজটের দুর্ভোগ গোচাতে সকলের সহযোগীতার প্রয়োজন। অন্তত দিনের বেলায় শহরে যেন কোন ট্রাক প্রবেশ না কারারজন্য বাস-ট্রাক মালিক সিমিতি কর্তৃক্ষের প্রতি জোর আবেদন রইলো। শ্রমিকদের কোন দোষ নেই। আপনারা মালিকরা যেভাবে চালাবেন শ্রমিকরা সেভাবেই চলবে।
জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে এসময় নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা, সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ হোসনে আরা বাবলি, পুলিশ সুপার মঈনুল হক, নারায়নগঞ্জ সিভিল সার্জন এহসানুল হক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এফ এম এহতেশামূল হক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগম, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, নারায়ণগঞ্জ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফজলুল হক রুমন রেজা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রবীর সাহা, মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির শিপন সরকার সহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও জেলার বিভিন্ন ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ।