নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিবেদক ) : নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেছেন, যেহেতু আমি সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা সেহেতু আমি তো চাইবোই সিটির উন্নয়ন হোক। সে কারণেই আমি কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে বলেছি কেউ ডুয়েল গেম খেলবেন না মেয়রকে সম্পূর্ন সহযোগীতা করবেন। মেয়রের সঙ্গে কনফারেন্স টেবিলে বসে এলাকার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করবে। এ কথা বলার পর কিছু কিছু পাতি নেতা যারা কখনো নেতার কাতারে আসতো না তারা আমার সমালোচনা করেন। কিছু কিছু লোকের জন্য আমাদের জনপ্রতিনিধিদের বিভক্ত হয়ে যেতে হয়। আর কিছু লোক সুবিধা নেয়। ৫ই ফেব্রুয়ারি শনিবার রাতে বন্দর উপজেলার অডিটোরিয়ামে বন্দর উপজেলার উন্নয়ন নিয়ে বন্দরের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। মত বিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান এম.এ রশিদ।
এমপি সেলিম ওসমান বলেন, নির্বাচনের মাঠে একটু ভুলি বুঝাবুঝি হয়। আসলে আমরা বঙ্গবন্ধুর অনুসারী। স্থানীয় নির্বাচনে মার্কা হয়ে যাওয়ার কারনে আমরা যারা রাজনীতির (র) বুঝিনা তাদেরও নৌকার জন্য দৌড়ঝাপ করতে হয়েছে। আসলে এই ব্যর্থতা আমরা যারা নেতৃত্ব দেই তাদের। যা হওয়ার হয়ে গেছে। এরপরও খোচাখুচি থেকে যায়।
এসময় সভায় সর্বসম্মতিক্রমে বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান এম.এ রশিদকে আহবায়ক করে ১৫১ সদস্য বন্দর উন্নয়ন আহবায়ক কমিটির করার সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে ওই কমিটি ১০০১ সদস্যে উন্নীত করতে বলা হয়েছে।
মতবিনিময় সভা বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল সহ সিটি কর্পোরেশন এলাকার সকল কাউন্সিলর ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা সহ সকলেই বন্দরের উন্নয়নে একত্রে কাজ করার প্রতিশ্রæতি প্রদান করেন।
এমপি আরও বলেন, বিগত দুই বছরে করোনার কারনে সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের। তারা স্কুল কলেজে যেতে পারে নাই। এখন ওমিক্রন দেখা দিয়েছে। আমাদের সব থেকে বেশি করনীয় হচ্ছে নিজে সচেতন থাকা অন্যকে সচেতন করা। গত কয়েকদিনে আমি অনেক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করেছি কিন্তু এখন পযন্ত তেমন সুফল পাচ্ছিনা। আজকে যারা চেয়ারম্যান মেম্বার কাউন্সিলর বানান তারাও এখানে উপস্থিত আছেন।
নাসিম ওসমান সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পর্কে সেলিম ওসমান বলেন, বিজ্র হতে এতো সময় লাগে না। আজ সেতুর কাজ দেখে মনটা ভাল হয়ে গেছে। কিন্তু রাস্তা গুলো দখল করা হচ্ছে, পীর আউলিয়ারাও জমি দখল করছে এগুলো দেখার মত কেউ নেই। সাধারণ মানুষ যারা এখন রাস্তার পাশে দোকানপাট করতেছেন পরবর্তীতে তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। শান্তিরচরে নীটপল্লীর জমি বিক্রি করে দেওয়ার পায়তারা করা হয়। কি চায় এরা ? এরা কিন্তু বন্দরেরই মানুষ। বন্দরের মানুষ বন্দরের উন্নয়ন না চেয়ে এমন কাজ করলে উন্নয়ন আগাবে না। নবীগঞ্জ দিয়ে সেতু নির্মাণের জন্য আমারই চাহিদ পত্র দেওয়া। যেহেতু নদীর দুইপাড়ই সিটি কর্পোরেশনের তাই সেটা সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে হবে। তাই বলে উন্নয়ন কাজকে তো বাধা দেওয়া যাবে না। সেতু গুলো হলে বন্দরের চেহারা পাল্টে যাবে। আপনারা আপনাদের জমি গুলো বিক্রি করে দিয়েন না।
এসময় নতুন জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ সম্পর্কে সেলিম ওসমান বলেন, আমাদের নতুন জেলা প্রশাসক বন্দরকে ভালবেসে ফেলেছেন। তিনি গোপনে এসে বন্দরে পুকুরে বড়শি দিয়ে মাছ ধরেন। আমাদের সরক্ষেত্র উনার খুব পছন্দ হয়েছে। সেখানে ওনি একটি স্মৃতি শৌধ বানাতে চেয়েছেন। যে পরিকল্পনা আমি আর রশিদ ভাই আগেই করেছিলাম কিন্তু যে কোন কারন বশত হয়ে উঠেনি। আমাদের চিন্তা ভাবনার সাথে ওনার চিন্তা ধারনা মিলে গেছে। এজন্য আমি জেলা প্রশাসককে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মত বিনিময় সভা এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সানা উল্লাহ সানু, নারী ভাইস চেয়ারম্যান ছালিমা ইসলাম শান্তা। বন্দর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কুদরত-এ- খোদ, বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোকলেসুর রহমান, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহেন শাহ, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন, ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জোহা, ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজ মন্ডল, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ গাজী সালাম, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, গোগনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজর আলী, আলীরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা।