নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( শহর প্রতিবেদক ) : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, গতকালকে (১০ই জানুয়ারি) এসপি অফিসে গিয়েছিলাম তাকে পাইনি। আজকে গিয়ে বলব আমার কাছে আর কোনও বিকল্প নেই। প্রয়োজনে আপনার অফিসের সামনে বসে পড়ব। এখান থেকেই আমি আমার নির্বাচন পরিচালনা করব। ১১ই জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে শহরের মিশনপাড়া এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন । পরে নগরীর মিশনপাড়ায় সংবাদ সম্মেলনও করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তৈমূর বলেন, আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল কেন্দ্রীয় নেতা নারায়ণগঞ্জে শোডাউনে এসে বলেছেন, তৈমূর ঘুঘু দেখেছে, ঘুঘুর ফাঁদ দেখেনি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আমাকে রেজাল্ট দেখাবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। এই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই আমি ঘুঘু এবং ঘুঘুর ফাঁদ দেখা শুরু করেছি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। ১০ই জানুয়ারি সোমবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আমার নির্বাচনী প্রচার কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও যেসব চেয়ারম্যানরা আমার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছিল তাদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। এটা এক ধরনের হুমকি।
তৈমূর অভিযোগ করে বলেন, সরকারি দলের বড় বড় নেতাদের নারায়ণগঞ্জে এনে নানা উসকানিমূলক ও হুমকিমূলক বক্তৃতা দেওয়ানো হচ্ছে। একজন সম্মানিত মেহমান বলেছেন যে, তৈমুরকে মাঠে নামতে দেওয়া হবে না। এসব করে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করা হচ্ছে।
প্রচারণাকালে তৈমূর বলেন, আমি শঙ্কিত হব না কেন। নেতাকর্মীদের বাড়িতে যখন পুলিশ হামলা করে। এজেন্টকে যখন পুলিশ ধরে নিয়ে যায় হেফাজতের মামলায়, তখনতো শঙ্কা সৃষ্টি হবেই।
তিনি আরও বলেন, ভাই বোনকে জিজ্ঞেস করে নির্বাচনে দাঁড়াইনি। তারা এক দলেরই লোক। তাদের মধ্যে বিভাজন পরিষ্কার। ভাই বোন এক হয়ে গেলে ভালই হত। মিডিয়ার কল্যাণে এসব কথাবার্তা শুধু নারায়ণগঞ্জের মানুষ শোনে না, বিশ্বব্যাপী মানুষ শোনে। বাইরে কোথাও গেলেই নারায়ণগঞ্জের ব্যাপারে অনেক কথা উঠে যায়। আমরা মামলা খেয়ে খেয়ে এবং গ্রেফতার হয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেছি।
মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, এতদিন জনগণ প্রার্থী পায়নি আমরা রাজিও হইনি। এখন আমরা রাজি হয়েছি জনগণ মনের মত প্রার্থী পেয়েছে। যে প্রার্থী সবসময় জনতার থাকবে।
তিনি আরও বলেন, কার নামে ওয়ারেন্ট নেই ? বিএনপি চেয়ারপারসন নিজে জেলে আছেন। তারেক রহমানও তো ওয়ারেন্ট নিয়েই বিদেশে আছে। কে মামলার মধ্যে নেই। রবি করে বিএনপি, তাকে ধরা হয়েছে হেফাজতের মামলায়। হেফাজতের লোকেরাই তো প্রধানমন্ত্রীকে কওমি জননীর উপাধি দিয়েছে। গোলযোগ হেফাজতের সাথে আর মামলা খায় বিএনপি।
মেয়র প্রার্থী তৈমূর বলেন, আমার সাথে শুধু বিএনপি নয় সব দলের লোকেই আছে। আমি দুই তিন ধাপে এজেন্ট তৈরি করছি।