নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বিশেষ প্রতিবেদক ) : সবকিছু ঠিক থাকলে সন্নিকটে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। আর এই নিবার্চনকে ঘিরে নাসিকের ১১ নং ওয়ার্ডে চলছে নানা কৌশলে প্রচারণা। এরআগে এই ওয়ার্ড থেকে একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও এবার ভিন্নরূপে মোড় নিয়েছে।
জানা গেছে, প্রায় ৩০ বছর ধরে উল্লেখিত ওয়ার্ডে জনপ্রতিনিধি হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন জমশের আলী ঝন্টু। রাজনৈতিক পরিচয়ে তিনি একজন বিএনপি নেতা। তবে র্বতমানে দলীয় কোন কর্মকান্ডে তেমন একটা দেখা যায়না। অভিযোগ রয়েছে, সরকার দলীয় প্রভাবশালী প্রতিনিধি’র সাথে আতাত করেই তিনি বারবার জনপ্রতিনিধি হয়েছেন।
ওয়ার্ডবাসীর কাছে জানতে চাইলে তারা বিভিন্ন সমস্যা তুলো ধরে তারা বলেন, এই ওয়ার্ডে চলাচলে মূল সড়কে চলাচলে রাস্তাগুলো পাকা হয়েছে। তবে ড্রেণেজ পরিস্কার না থাকায় পানি জমে থাকে। আর বিভিন্নস্থানে খানা খন্দ হয়ে বেহাল দশা হয়ে যায়। তাছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক নাই। সবচেয়ে প্রধান সমস্যা বর্তমানে পানির সমস্যা রয়েছে। আমাদের এলাকায় সোলার লাইটের প্রতিস্থাপন প্রয়োজন রয়েছে। ময়লা ও মশা নিধনে কার্যকরিতা এই ওয়ার্ডে কম। আর সবথেকে ভয়াবহ এই এলাকায় মাদকের রমরমা বানিজ্য। যা নিরসনে পুলিশ প্রশাসনের ভুমিকা থাকলেও স্থানীয়ভাবে এর কোন চীরস্থায়ী সমাধান হয়নি।
এদিকে সম্প্রতি ১১নং ওয়ার্ডে শামীম ওসমানের নির্দেশে আয়োজিত কর্মী সভায় বিএনপি নেতা ঝন্টুকে পরাজয় করাতে একট্টা হয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা। তাদের দাবী দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধি হয়ে থাকলেও তিনি তেমন উন্নয়ন করতে পারেনি। প্রথম অবস্থায় উন্নয়ন দেখালেও ওর্যাডবাসী এখন তার উপর নারাজ। তিনি এখন নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত। তাছাড়া এক শিল্পপতি’র ছায়াতলে তিনি প্রতিবারই ভোট চেয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তিতে তা রাখে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বর্তমান কাউন্সিলর জমশের আলী ঝন্টু বলেন, আমি জনতার ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। আশা করি আগামীতেও ওয়ার্ডবাসী আমাকে নির্বাচিত করবে। আমার পরিবারের লোক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাই আমি এই মুহুর্তে কথা বলতে পারছিনা।
এদিকে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হিসেবে সমাজ সেবা কার্যক্রম এবং প্রচারণায় বেশ সরব দেখা গেছে সাইফুল হাসান রিয়ালকে। যিনি করেনাকাল থেকে টিম সাইফুল হাসান রিয়াল এর স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী দিতে দেখা গেছে। মসজিদে স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ ও এলাকায় মশা মারতে স্প্রে দিয়ে জনসাধারণের পাশে দাড়াতে দেখা গেছে।
তাই এ প্রসঙ্গে সাইফুল হাসান রিয়ালের কাছে জানতে চাইলে তিনি ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদ প্রার্থী হিসেবে দাবী করেন। তিনি বলেন, আমার মূল উদ্দেশ্য জনগনকে সেবা দেয়া। সামর্থ দিয়েছে তাই নিজ এলাকার মানুষের জন্য কিছু করার প্রচেষ্টায় রয়েছি।
প্রসঙ্গত, এরআগে এই ওয়ার্ডে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও লড়াই হয় বর্তমান কাউন্সিলর জমশের আলী ঝন্টু (ঘুড়ি) ও অহিদুল ইসলাম ছক্কুর (ঠেলাগাড়ি) মধ্যে। উভয়ই বিএনপি বলয়ের তবে ঝন্টু নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় অহিদুল ইসলাম ছক্কু দলের নেতাকর্মীদের সমর্থনে ভোট যুদ্ধে লড়াই করে। এছাড়াও তার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বি করেছে ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি চঞ্চল মাহমুদ।
তবে এবারে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না এমনটা দাবী নেতাকর্মীদের। সেকারণে রাজনৈতিক দিক থেকে সক্রিয়তা থাকায় অহিদুল ইসলাম ছক্কুকে নিয়ে নির্বাচনে তেমন একটা ভাবনা নেই বললেই চলে। অন্যদিকে চঞ্চল মাহমুদকে এবার সাইফুল হাসান রিয়ালকে সর্মথন দিয়ে তার পাশে কাজ করতে দেখা গেছে।