নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : আইসিটি আইনে মামলা দায়ের করার পর এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন বিজিএমইএর সদস্য সাইদা আক্তার (সায়েদা সিউলি)। এছাড়াও প্রতারণার মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে খোরশেদের বিরুদ্ধে। বুধবার নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুন্যাল আদালতে এ মামলা দায়ের করেন সাইদা আক্তার । যার মামলা নং ২০৩/২১। মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআইকে ) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
মামলা এজহারে সাইদা আক্তার উল্লেখ করেন, খোরশেদ ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরী করে তার সাথে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেয়। তিনি এতে রাজি না হয়ে বরং তাকে বিবাহ করার মাধ্যমে বৈধভাবে সম্পর্ক করার কথা জানান। এক পর্যায়ে সাইদা আক্তারকে বিবাহ করার জন্য রাজি হন খোরশেদ। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ২ আগষ্ট বিকেলে সোনারগায়ের কাঁচপুরে বাদীর মালিকানাধীন এস এস ফিলিং ষ্টেশনে একজন কাজী (অজ্ঞাত) নিয়ে কাবিনামা রেজিষ্ট্রির মাধ্যমে খোরশেদ ও সাইদা বিবাহ আবদ্ধ হন। খোরশেদ ঐ সময় বাদীকে জানান আজ থেকে আমরা স্বামী–স্ত্রী ।
এজহারে উল্লেখ করা হয়, খোরশেদ স্বামী হিসেবে বাদীর কাছে বিশ্বাস জন্মাইয়ে ঐ রাতে তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এরপর থেকে বাদীর ইমু হোয়াসঅ্যাপ, ফেসবুক মেসেঞ্জারে বউ সম্ভোধন করে বিশ্বাস জন্মাইয়ে আরো একাধিকবার ধর্ষণ করে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি বাদীর ইচ্ছের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে খোরশেদ।
এজহারে আরো উল্লেখ করা হয়, কাবিন নামা ছাড়া সাইদা আর খোরশেদের সাথে মেলামেশা করবেন না এমন চাপ প্রয়োগের পর তিনি জানাতে পারেন, খোরশেদ মুলত তার সাথে প্রতারণা করেছে। খোরশেদ তাকে (সাইদা) বিবাহের নামে কাজী ডেকে নিয়ে আসা এবং কাবিন নামার রেজিষ্ট্রিতে স্বাক্ষর নেয়া এসব ঘটনা ভুয়া ও সাজানো। মুলত বিয়ের নামে খোরশেদ নাটক করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সাইদাকে ধর্ষণ করে।এজহারে আরো জানানো হয়, খোরশেদ প্রতারনা মাধ্যমে সাইদা আক্তারের নিকট থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এদিকে এর আগে খোরশেদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় আইসিটি আইনে মামলা দায়ের করেছে সাইদা আক্তার।ঐ মামলায় খোরশেদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করার পর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ২৩ আগস্ট ওই মামলা থেকে জামিন নিলেও আবারো একটি মামলায় তাকে বিবাদী করা হয়েছে। কাউন্সিলর খোরশেদ করোনাকালীন সময়ে লাশ দাফন ও সৎকার করে দেশব্যাপী আলোচিত হন। বর্তমানে মামলায় জড়িয়ে থাকায় পলাতক রয়েছে। এতে করে প্রাপ্তি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ।