নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : বিলুপ্ত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত আলী আহাম্মদ চুনকার সহধর্মিণী ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর মায়ের কবরে জিয়ারত করলেন নারায়ণগঞ্জ–৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। আজ ২৭ই জুলাই মঙ্গলবার বিকালে মাসদাইর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে গিয়ে প্রথমে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এরপর জিয়ারত করে নেতাকর্মীদের সাথে দোয়া করেন শামীম ওসমান। এ সময় তার পিতা, মাতা, বড় ভাই ও আইভীর বাবার কবরও জিয়ারত করে দোয়া করেন শামীম ওসমান।
এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাংবাদিকদের এমপি শামীম ওসমান বলেন, এতিম হওয়া যে কতটা কষ্টের এটা শুধু যে হারায় সেই বুঝে, সেটা যত বয়সেই হোক না কেন। আমি আইভীর মায়ের কবর জিয়ারত করেছি, তার জন্য এবং পৃথিবীর সকল মানুষের জন্যই আমি দোয়া করেছি এবং সব সময় করি। আমার সেদিনই আইভীর বাড়িতে যাওয়া উচিত ছিল কিন্তু আমার সহধর্মিণীর শারীরিক অবস্থা এত খারাপ ছিল যে সে নড়াচড়া করতে পারছিলেন না। তার চিকিৎসায় ব্যস্ত থাকায় যেতে পারি না। আজ প্রথমে কবর জিয়ারত করলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ–সভাপতি চন্দন শীল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জয়, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু প্রমুখ। এছাড়া এ সময় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মাসদাইর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে আইভীর মায়ের কবরে শ্রদ্ধা ও জিয়ারত শেষে মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে মেয়রের বাসভবনে ছুটে যান নারায়ণগঞ্জ–৪ (ফতুল্লা–সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।
উল্লেখ্য, মেয়র আইভীর মাতা মমতাজ বেগম ২৫ই জুলাই রবিবার বিকাল পৌনে ৫টায় তিনি শহরের দেওভোগের বাসায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি গত কয়েকদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি ৩ কন্যা ও ২ পুত্র সন্তান সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। রবিবার বাদ এশা বাইতুল নুর জামে মসজিদ (দেওভোগ চেয়ারম্যান বাড়ি মসজিদ) এ মরহুমার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর জানাজা শেষে মাসদাইর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে মরহুমার মরদেহ দাফন হয়।