ইজিবাইক চালক হত্যা : ২ জনকে আসামী করে ফতুল্লায় স্ত্রীর মামলা

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( নিজস্ব প্রতিবেদক ) : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ব্যাটারী চালিত মিশুক চালক কে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে মিশুক ছিনতাইয়ের ঘটনায় নিহত মিশুক চালকের প্রথম স্ত্রী রেহেনা আক্তার (৩৫) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২ জনকে আসামী করে ১৭ই জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় উল্লেখ্য করা হয় যে, নিহত মিশুক চালক আনোয়ার হোসেন (৩৯) চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার মৃত আবুল হাসেমের পুত্র। নিহত আনোয়ার হোসেন (দ্বিতীয় স্ত্রী সাফিয়া বেগম কে নিয়ে) ফতুল্লা থানার কোতালেরবাগ বৌ বাজারস্থ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুর সাহেবের বাসায় ভাড়ায় বসবাস করতেন এবং নিজ মালিকানাধিন ব্যাটারী চালিত মিশুক গাড়ী চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। নিহত আনোয়ার হোসেন ১৬ই জুন বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার বৌ বাজারস্থ বাসা থেকে মিশুক নিয়ে বের হয়। রাত্র অনুমান ১২ টার সময় ফতুল্লা থানার রামারবাগ স্টেডিয়ামের সামনে হইতে ২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি নিহত আনোয়ার হোসেনের মিশুক গাড়ী নন্দলালপুর যাওয়ার কথা বলে ভাড়া করে। পরবর্তীতে একই তারিখ রাত্র পৌনে ২টার দিকে  জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে ফতুল্লা থানা পুলিশ সংবাদ পায় যে, একজন ব্যক্তির লাশ পিলকুনী জামে মসজিদের উত্তর দিকে নন্দলালপুর-শিয়াচর গামী রাস্তার উপর পড়িয়া আছে। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে লাশ লাশ উদ্ধার করিয়া সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করিয়া ময়না তদন্তের জন্য নারাণগঞ্জ (ভিক্টোরিয়া) জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন এবং লাশের পাশে পড়ে থাকা তাহার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিহতের পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করেন।

তখন তারা জানিতে পারি যে, অজ্ঞাতানামা দুষ্কৃতিকারীরা বুধবার দিবাগত রাত ১২ টা  হইতে রাত পৌনে ২ টার মধ্যে কোন এক সময় আনোয়ার হোসেন কে অজ্ঞাত স্থানে ধারালো অস্ত্র দ্বারা আঘাত করিয়া হত্যা করিয়া তাহার ব্যাটারী চালিত মিশুক, (যাহার মূল্য অনুমান ১ লাখ টাকা) ছিনাইয়া নিয়ে য়ায় এবং লাশ গোপন করার জন্য পিলকুনী জামে মসজিদের উত্তর দিকে নন্দলালপুর-শিয়াচর গামী রাস্তার উপর ফালাইয়া রাখিয়া চলিয়া যায়।

নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী সাফিয়া বেগম জানায় তার স্বামী বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ৭ সাটার দিকে তার স্বামীর প্রথম স্ত্রী তাকে ফোন করে জানায় যে তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে এবং মৃতদেহ ফতুল্লা থানায় রয়েছে। নিহত মিশুক চালক আনোয়ার হোসেনের প্রথম স্ত্রীর সংসারে দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছ। দ্বিতীয় স্ত্রীর সংসারে কোন সন্তানাদি নেই বলে জানায় নিহতের স্বজনেরা।

ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, নিহত মিশুক চালক আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা দুই জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত সহ গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে বলে তিনি জানান।

add-content

আরও খবর

পঠিত