নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্টার ) : গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে বের হলেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলাম। আজ ২৩ই মে রবিবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে তিনি কারাগার থেকে বের হন।
এদিকে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর সাংবাদিকতা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম।
তিনি বলেছেন, সাংবাদিকতা চালিয়ে যাব। এ সময় তার মুক্তির ব্যাপারে সাংবাদিকসহ যারা তার পাশে ছিলেন সবাইকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে রবিবার সকালে অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে করা মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন ভার্চুয়াল আদালত।
বিচারক জামিন আদেশে বলেন, পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করা হলো। এ ছাড়া তাকে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। গণমাধ্যম ও বিচার বিভাগ একে অপরের পরিপূরক। প্রত্যেকের অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ও সহনশীল আচরণ করবেন এমন প্রত্যাশা করছি।
এর আগে ২০ই মে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম বাকি বিল্লার ভার্চুয়াল আদালতে সাংবাদিক রোজিনার জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন রোজিনার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজি, আমিনুল গনি টিটু, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, প্রশান্ত কুমার কর্মকার ও আশরাফুল আলম। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন হেমায়েত উদ্দিন হিরোন।
আদালত শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন ও জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য ২৩ই মে রবিবার দিন ধার্য করেন।
গত ১৮ই মে মঙ্গলবার রোজিনা ইসলামকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে তার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে তার জামিন শুনানির জন্য ২০ই মে বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন।
এরপর রোজিনার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার তার চিকিৎসার জন্য আবেদন করেন। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী তার চিকিৎসার নির্দেশ দেন। এরপর প্রিজনভ্যানে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে ১৭ই মে সোমবার রাতে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ উসমানী।
সচিবালয়ে দীর্ঘক্ষণ আটক রাখার পর ১৭ই মে সোমবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে শাহবাগ থানায় আনা হয়। তার বিরুদ্ধে অনুমতি ছাড়া মোবাইল ফোনে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তোলা এবং আরও কিছু নথি লুকিয়ে রাখার অভিযোগ এনেছে মন্ত্রণালয়।