ঈদগাহে নয়, ঈদের জামাত হবে মসজিদে : ধর্ম মন্ত্রণালয়

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্টার ) : আসন্ন ঈদ উল ফিতরের নামাজের জামাত ঈদগাহ বা খোলা মাঠের পরিবর্তে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ নিজ এলাকার মসজিদে আদায় করতে হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয় আজ ২৬ই এপ্রিল সোমবার এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সাখাওয়াৎ হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ভয়াবহ মহামারি আকার ধারণ করার ক্ষেত্রে যথাযথ সুরক্ষা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অতি জরুরি। করানোভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে সারা দেশে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে জারি করা নির্দেশাবলি অনুসরণ করে আসন্ন পবিত্র ঈদ উল ফিতরের নামাজের জামাত আদায়ের জন্য অনুরোধ করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে সারা বিশ্বসহ আমাদের দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিজনিত কারণে মুসল্লিদের জীবনের ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামাত মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ করা হলো। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত করা যাবে। ঈদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে পারবেন।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে ওজুর স্থানে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদের গেইটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে। প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। ঈদের নামাজের জামাতে আগত মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।

শিশু, বৃদ্ধ ও কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত কল্পে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই প্রতিপালন করতে হবে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদ উল ফিতরের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আল-আমিনের দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামগণকে অনুরোধ করা যাচ্ছে। সম্মানিত খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, উপরোক্ত নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

add-content

আরও খবর

পঠিত