নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জে বন্দরে মাদক বিরোধী অভিযানে মো. সোহরাব হোসেন (২৮) ও মো. রাসেল মাহাবুব (২৭) নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। ২৪ই এপ্রিল শনিবার দিবাগত রাত ১.৩০ মিনিটে বন্দর থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর এলাকায় রাফি ফিলিং স্টেশনের সামনে পরিচালিত র্যাব-১১ এর চেকপোস্টে পণ্য বোঝাইকৃত কুমিল্লা হতে ঢাকাগামী একটি হলুদ রংয়ের সন্দিগ্ধ ট্রাকে তল্লাশী করে ৪৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয় এবং অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা পরিবহনের দায়ে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ১টি ট্রাক জব্দ করে র্যাব। গ্রেফতারকৃত আসামী মো.সোহরাব হোসেন কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানাধীন চরভাকর এলাকার মো. আক্তার হোসেন এর ছেলে এবং অপর আসামী মো. রাসেল মাহাবুব একই জেলার বুড়িচং থানাধীন জগৎপুর এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে বলে জানা যায়।
২৫ই এপ্রিল রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ বার্তাকে র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জসিম উদ্দীন চৌধুরী, পিপিএম এক সংবাদ প্রেরতি বার্তায় জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীরা পরষ্পর যোগসাজশে চলমান লকডাউন পরিস্থিতিতে পণ্য পরিবহনের জন্য পণ্যবাহী ট্রাক এর অবাধ চলাচলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে পণ্যবাহী ট্রাকযোগে চালক ও হেলপারের ছদ্মবেশে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজা পরিবহন করে আসছিল বলে জানা যায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২৫ই এপ্রিল নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজার একটি বড় চালান নিয়ে বিক্রয় ও সরবরাহের জন্য কুমিল্লা জেলা হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল বন্দর থানাধীন মদনপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চেকপোস্ট স্থাপন করে ঢাকাগামী বিভিন্ন পণ্যবাহী ট্রাক তল্লাশী করতে থাকে। একপর্যায়ে শনিবার দিবাগত রাত ১:৩০ মিনিটে ঢাকাগামী ১টি সন্ধিগ্ধ ট্রাক তল্লাশী করে ২টি প্লাস্টিকের বস্তায় ভর্তি অবস্থায় সর্বমোট ৪৯ কেজি গাঁজাসহ উক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে-নাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
র্যাবের ওই কর্মকতা আরো জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীরা স্বীকার করে জানায় তারা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাকের চালক ও হেলপারের ছদ্মবেশে পণ্য পরিবহনের আড়ালে অবৈধভাবে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজা পরিবহন করে আসছিল এবং উক্ত নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল। মাদক ব্যবসা তাদের একমাত্র পেশা। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।