নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্টার ) : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আগামী ১৪ই এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তবে সম্পূর্ণ লকডাউন শুরু হলেও এ সময়ে শিল্প-কারখানা চলবে। ১১ই এপ্রিল রবিবার বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের নিশ্চিত করেছেন।
সভায় যুক্ত ছিলেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম, নব-নির্বাচিত সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ও বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
এর আগে ১১ই এপ্রিল রবিবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে পোশাক খাতের বর্তমান ইস্যু নিয়ে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ ও ইএবি’র যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রফতানিমুখী তৈরি পোশাক খাতসহ বস্ত্রখাতের অন্যান্য সহযোগী শিল্পসমূহকে লকডাউনের আওতামুক্ত রাখার দাবি জানান এ খাতের শিল্প উদ্যোক্তারা।
তারা বলেন, যেখানে ইউরোপ, আমেরিকা, ব্রাজিলের মতো রাষ্ট্রগুলো হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে আমাদের সমন্বয়ের অভাব নেই। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কারখানায় উৎপাদন অব্যাহত রেখেছি। সেন্টার ফর বাংলাদেশ, ইউকে বার্কলি ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জরিপ মতে, ৯৪ শতাংশ শ্রমিক বলেছেন, তারা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গাইডলাইন বিষয়ে সচেতন, ৯১.৪২ শতাংশ শ্রমিক বলেছেন, কারখানা থেকে তাদের কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে। তাছাড়া শ্রমিকেরা ছুটিতে গ্রামের বাড়ির দিকে রওনা দিলে সংক্রমণ আরও ছড়াবে। এমন পরিস্থিতিতে সরকার লকডাউনে শিল্প কারখানা খোলা রাখার পক্ষে মত দেন তারা।
বিকেএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, সরকার আগামী ১৪ই এপ্রিল বুধবার থেকে সম্পূর্ণ লকডাউন করলেও ওই সময়ে শিল্প-কারখানা চলবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আমাদের নিশ্চিত করে বলেছেন, লকডাউনে শিল্প কারখানা ছাড়া সব বন্ধ থাকবে। ব্যাংক বন্ধ থাকলে আমদানি রফতানিতে সমস্যা হবে, এটি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জানানো হলে তিনি পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আজ বা আগামীকাল এ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।
মহামারি করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ রাখার পরিকল্পনা ছিল সরকারের। তবে উন্নত বিশ্বে লকডাউন ঘোষণা করা হলেও রফতানিমুখী শিল্প কারখানায় উৎপাদন অব্যাহত আছে।