নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি মসজিদে হাত দিলে তার কবর রচিত হবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর প্রতি ইঙ্গিত করে হুঁশিয়ারি দিলেন ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও শহরের ডিআইটি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবদুল আউয়াল। ৫ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার জুম্মার বয়ানে মসজিদের মুসল্লিদের সামনে এমন ঘোষণা দিয়েছেন। এই ঘোষণায় উপস্থিত হাজারও মুসল্লী ঠিক শব্দ উচ্চরণে সমর্থন জানিয়েছেন ।
মেয়র আইভীকে উদ্দেশ্যে করে হেফাজতের নেতা মাওলানা আবদুল আউয়াল বলেন, মাসদাইর কবরস্থানের পাশে মসজিদের সাথেই দীর্ঘদিন একটি মাদ্রাসা ছিল। মাদ্রাসাটি ভেঙ্গে দিয়েছে উনি (মেয়র আইভী)। বলেছিলেন, নিজেস্ব অর্থায়নে করে দিবে, এত বছর হয়ে গেল কিন্তু মাদ্রাসাটি করে দিল না। এখন তার মন মত মসজিদ করে আগের ইমাম বাদ দিয়ে একজন বেদাতী ইমাম ডুকিয়েছে সেই মসজিদে। ইদানিং খবর পেলাম, বাগে জান্নাত মসজিদ ও মাদ্রাসা ভাঙ্গার জন্য লোক পাঠিয়ে ছিল। পরবর্তীতে সিটির জায়গা দাবী করে, সে নিজেই গিয়ে এটাকে ভেঙ্গে পার্ক বানানোর কথা বলেছেন।
আব্দুল আউয়াল আরো বলেন, এখন আবার আলোচনা শুনছি, ডিআইটি মসজিদের সামনে নাকি ফ্লাইওভার বানানো হবে আর শেখ রাসেল পার্কের দর্শনার্থী নারী-পুরুষ সব মসজিদের উপর দিয়ে চলাচল করবে। আপনারা বুঝতে পেরেছেন ব্যাপারটা ? এখন উনার টার্গেট ডিআইটি মসজিদ নিয়ে যাওয়ার। মসজিদ নিয়ে নিজের মন মত বানাবে। আমাকেও বলেছিলেন, মসজিদটা তাকে দিয়ে দিতে। আর এখন আমি সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় তার মাথা তেলে বেগুনে জ্বলতে শুরু করেছে।
আব্দুল আউয়ালের ভাষ্য, আপনি মেয়র হওয়ার বহু আগে থেকেই এখানে এই মসজিদ সরকারি জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই জায়গা আপনার বাবার না। রেলওয়ের জায়গা দখল করে যা মনে চায়, তাই করছেন। এখন আবার ডিআইটি মসজিদ নিয়েও আপনি যা মনে চায়, তাই করতে চাইছেন ? আইভী আপনি মনে রাইখেন, আমি আব্দুল আউয়াল চলে যেতে পারি। জনগণ কোন দিনও আপনাকে ছাড়বে না। হে ইমানদারেরা, ইমানের উপর বলিয়ান হও। এই ডিআইটি মসজিদের উপর যদি কেউ হাত দিবে, তার কবর রচিত হবে এই বাংলার জমিনে। ডিআইটি মসজিদের সামনে ফ্লাইওভার কোনদিনও বাস্তবায়িত হতে দিবো না।
আব্দুল আউয়াল মেয়র আইভীর সমালোচনা করে বলেন, উনি নারায়ণগঞ্জের মেয়র। মুসলিম পরিবারের মেয়ে হয়ে সিঁদুর লাগিয়ে মন্দিরে গিয়ে পুজা করছেন। সেই ছবি নাকি ভাইরাল হয়েছে। একজন আমাকে এনে দেখালেন। আপনি কোরবানী করেন না, অথচ ১০ মহরমে গরু জবাই করেন। মাজারপন্থী, শিরকপন্থীদের সমর্থন করেন আর কওমি মাদ্রাসা পন্থীদের সতিনের ছেলে মনে করেন। আপনি তো সেই আইভী। আপনার ইতিহাস উন্মোচন হচ্ছে। এগুলো কোন দিন মুসলমানেরা সহ্য করবে না।
উল্লেখ্য, ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বাংলাদেশের প্রথম নারী মেয়র। সে ২০০৩ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান ও ২০১১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন।