নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভা আসন্ন নির্বাচনে ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ও রুহুল আমিন মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে ১২ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সৃষ্ট সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ৩ টি প্রাইভেটকার, ৬ টি মোটরসাইকেল ও আশ-পাশের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করা হয়। একটি টিনসেট ঘরে আগুন দেয়া হয়। আহতদের ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে টেক্সটাইল শ্রমিক মুজিবুর রহমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার বিকালে কাউন্সিলর প্রার্থী ও তারাবো পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের পূর্ব নির্ধারিত গণসংযোগ করতে তার কর্মী সমর্থকরা বের হয়। গণসংযোগকারীরা নোয়াপাড়া ইসলামিয়া মহিলা আলীম মাদ্রাসা এলাকায় পৌঁছলে প্রতিদ্বন্দ্বি অপর প্রার্থী সদ্য আওয়ামীলীগে যোগদানকারী রুহুল আমিন মিয়ার কর্মী সমর্থকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে গণসংযোগে বাঁধা প্রদান করে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। খবর পেয়ে রুহুল আমিন মিয়ার চাচা শ্বশুরের মালিকানাধীন পাশ্ববর্তী আবির টেক্সটাইল মিলের শ্রমিকরা দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আনোয়ার হোসেনের সমর্থকদের উপর পূনরায় হামলা চালায়। হামলাকারীরা আশপাশের এলাকায় তান্ডব চালায়।
এ সময় ৩ টি প্রাইভেটকার, ৬ টি মোটরসাইকেল আশপাশের ঘরবাড়িতে হামলা চালায়। একটি টিনসেট ঘরে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৩৫ জন আহত হয়। আহত ইউসুফ (৩৩), তানভীর (৩৫), অমি (২৫), আলী মঞ্জুর (৪৫), হাবিব (৫০), খোরশেদ (৩৫), জোবায়ের (২৫), জাহাঙ্গীর (৫৫), মতিন, আলমগীর (৩১) হিমেল (২৪), রাসেল (১৯), সিদ্দিক (২৮) , রকিবুল ২৭), ইমরান (১৯),সাদ্দাম (৩৩), মিয়াজান (২২), আরজ আলী (৪৮), সরাফত (৩৫), রাজ (২৫)ু, শাহেদ (৩৩), তারিক (২৪), মোবারক (৩২), জসিম (৩৭), ইলিয়াছ (৩৮), সোবহান (৪১) ও মোমেন (৪৭)সহ ৩৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে টেক্সটাইল শ্রমিক মুজিবুর রহমানের অবস্থা আশঙ্ককাজনক।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গ) সার্কেল মাহিন ফরাজী, নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসার ও তারাবো পৌর নির্বাচন রিটার্নিং অফিসার মতিয়ুর রহমান, রূপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফিফা খান ও রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার মাবাবুবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ।
কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বলেন, তাঁর পূর্ব নির্ধারিত গণসংযোগে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী রুহুল আমিনের নিয়োজিত বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমার কর্মী সমর্থকদের উপর দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে সূপরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। আমার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।
প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী রুহুল আমিন মিয়া বলেন, আমার নির্বাচনী গণসংযোগে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। নির্বাচনী মাঠে পরাজিত হওয়ার আশঙ্কায় তারা এ হামলা চালিয়েছে। রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান বলেন, সূষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।