নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ (ডেস্ক রিপোর্ট) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বেগম সুফিয়া কামাল যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন, তা যুগে যুগে বাঙালি নারীদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন আবহমান বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি মমতাময়ী মা। বাংলার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তার আপোষহীন ও দৃপ্ত পদচারণা ছিল। প্রথিতযশা কবি ও লেখিকা বেগম সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল ও নারীমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ কবি বেগম সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানায়। বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি সুফিয়া কামালের সাহিত্যে সৃজনশীলতা ছিল অবিস্মরণীয়। শিশুতোষ রচনা ছাড়াও দেশ, প্রকৃতি, গণতন্ত্র, সমাজ সংস্কার এবং নারীমুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার লেখনী আজও পাঠককে আলোড়িত ও অনুপ্রাণিত করে।
শেখ হাসিনা বলেন, নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার চিন্তাধারা কবি সুফিয়া কামালের জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছিল। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী হোস্টেলকে ‘রোকেয়া হল’ নামকরণের দাবি জানান। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান সরকার রবীন্দ্রসঙ্গীত নিষিদ্ধ করলে এর প্রতিবাদে গঠিত আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। কবি সুফিয়া কামাল শিশু সংগঠন ‘কচিকাঁচার মেলার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামসহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সুফিয়া কামালের প্রত্যক্ষ উপস্থিতি তাকে জনগণের ‘জননী সাহসিকা’ উপাধিতে ভূষিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পচাঁত্তরের পনেরই আগস্টে নির্মমভাবে হত্যা করে যখন এদেশের ইতিহাসে বিকৃতির পালা শুরু হয়, তখনও সুফিয়া কামালের সোচ্চার ভূমিকা বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের গণতান্ত্রিক শক্তিকে নতুন প্রেরণা যুগিয়েছিল। তার জীবনী চর্চার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে।