নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে হাটের সংখ্যা কমানোর পাশাপাশি একাধিক শর্তে ৭টি স্থানে অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারার জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন। করোনা ভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে এইসব হাট পরিচালনার কথা বলা হয়েছে। গতবছর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭ টি ওয়ার্ডে মোট ২১টি অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা দেয়া হয়েছিল। গতবারের মতো এবারও শহরের ভিতরে কোন হাটের ইজারা আহবান করা হয়নি।
সিটি কর্পোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলে ৪ টি, সদর অঞ্চলে একটি ও কদম রসুল অঞ্চলে ২ টি হাটের অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল আমিন। নাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল আমিন জানান, দুই দফায় হাটের ইজারা আহবান করা হয়েছে। প্রথম দফায় আগামী ১৬ জুলাই দরপত্র আহ্বানের শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ওইদিনেই বেলা তিনটায় দরপত্র উন্মুক্ত করা হবে। দ্বিতীয় দফায় আগামী ২১ জুলাই দরপত্র আহ্বানের শেষ তারিখ এবং বেলা তিনটায় দরপত্র উন্মুক্ত করা হবে। স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে হাট পরিচালনা করতে হবে।
হাটগুলো হল- নাসিক ৫ নং ওয়ার্ড ওমরপুরস্থ সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার রোড পার্শ্বের জালাল উদ্দিন আহম্মেদ এর খালি জায়গা, ৬ নং ওয়ার্ড এসও রোড (মেঘনা রোড) বটতলা চৌরাস্তা বালুর মাঠ, ৮ নং ওয়ার্ডের গোদনাইল ইব্রাহিম টেক্সটাইল মিলস মাঠ, ৯ নং ওয়ার্ড ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের পশ্চিম পার্শ্বের জালকুড়ি টিসি রোড সংলগ্ন খালি জায়গা, ১০ নং ওয়ার্ডে লক্ষীনারায়ণ মিলস সংলগ্ন সিটি করপোরেশনের খালি জায়গার, ২৪ নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন অস্থায়ী পশুর হাট এবং ২৭ নং ওয়ার্ডের ফুলহর আনোয়ার সাহেবের বালুর মাঠ।
হাটের শর্তাবলি: ১. হাটের সকলকে মাস্ক, গ্লাভস ও অন্যান্য সুরক্ষা সামগ়্রী ব্যবহার করতে হবে। ঘন ঘন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে হবে। ২. হাটের একাধিক পয়েন্টে হাত ধােয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। ৩. পশুর হাটে আগত সকলকেই নুন্যতম তিন ফুট শারীরিক দুরুত্ব বজায় রাখতে হবে। ৪. কোন প্রকার ভ্রাম্যমান খাবারের দোকান, ফেরীওয়ালা বসতে পারবে না। ৫. পশুর হাটে অসুস্থ ব্যক্তি, ১০ বছরের কম বয়সী শিশুদের আসা নিরুৎসাহিত করতে হবে। ৬. যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা যাবে না। নির্দিষ্ট দুরত্বে অপসারণের পৃথক ব্যবস্থা থাকতে হবে। ৭. পশুর হাট চলাকালীন প্রতিদিন সকাল ৭ টার মধ্যে হাট প্রাঙ্গন অবশ্যই পরিষ্কারের ব্যবস্থা করতে হবে। ৮. হাটের প্রবেশ পথ বহির্গমন পথে অস্থায়ী জীবানুনাশক টানেল ও থার্মাল স্ক্যানার ব্যবস্থা রাখতে হবে। ৯. হাটে সার্বক্ষনিক সচেতনতামূলক মাইকিং এর ব্যবস্থা রাখতে হবে। ১০. দৃশ্যমান একাধিক স্থানে ছবিসহ সরকারি স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশনা ঝুলিয়ে রাখতে হবে। ১১. হাট প্রাঙ্গনে স্থাপিত স্থায়ী ও অস্থায়ী টয়লেট সমূহ ঘন ঘন পরিষ্কার করতে হবে। ১২. হাটে স্থাপিত জাল টাকা সনাক্তকরণ বুথ, মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট বুথ, পশুর স্বাস্থ্য নিরীক্ষা বুথ ইত্যাদি সকল বুথে প্রয়ােজনীয় স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। ১৩. গবাদি পশু বহনসহ সকল যানবাহন হাট প্রাঙ্গনে প্রবেশকালে অবশ্যই জীবানুমক্ত করতে হবে। ১৪. গবাদি পশুর রাখার স্থানগুলােকে নির্দিষ্ট দূরত্ব পর পর একাধিক ব্লকে বিভক্ত করতে হবে যেন পর্যাপ্ত সামিজ্ক দুরত্ব বজায় থাকে। ১৫. হাটের স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে তালিকা জেলা প্রশাসক বরাবরে পাঠাতে হবে। ১৬. মেডিকেল টিম ও প্রানী সম্পদ চিকিৎসকের জন্য আবশ্যিকভাবে সেবা বুথ থাকতে হবে। ১৭. সড়ক ও মহাসড়কের উপর কোন হাট বসানো যাবে না। ১৮. মহাসড়কের ১০ মিটারের মধ্যে হাট বসানাে যাবে না, যানজট সৃষ্টি করা যাবে না। ১৯. জনজীবনে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। ২০. আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করা যাবে না।