নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : পিঠা বিক্রি ও কিস্তির টাকায় তিলে তিলে গড়ে উঠা মুদি দোকানটি এখন পুড়ে ছাই। দোকানটি না থাকলেও আছে রিপনের মায়ের বুক ফাটা কান্না। নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার তিনগাঁও এলাকায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৪টি দোকানের মালামাল এবং নগদ টাকা পুড়ে ছাই হয়ে তারা এখন দিশেহারা। করোনা প্রাদুর্ভাবের এমন পরিস্তিতিতে স্থানীয় প্রশাসন ও চেয়ারম্যান আশ্বাস দিলেও কেউই এগিয়ে আসেনি এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
দোকান মালিকেরা জানায়, পাশে থাকা অবৈধ পেট্রোল ও ডিজেলের দোকানের মালিক শরিফ উল্লাহর প্রতিষ্ঠান থেকে আগুন লেগেছে। অনেকবার সতর্ক করলেও তারা এসব জ¦ালানী সরঞ্জাম অন্যত্রে সরিয়ে নেননি। বরং স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে বীরদর্পে পূণরায় স্থাপন করেছে সেই জ¦ালানী সরঞ্জামের অবৈধ দোকান। এতে ক্ষুব্দ ভুক্তভোগী দোকান মালিকসহ স্থানীয়রা।
জানা গেছে, অগ্নিকান্ডের ফলে দোকানী নার্গিস সহ ঔষধের দোকানের মালিক মো. মনির হোসেন, কাঁচামালের দোকানের মালিক আলীম উদ্দিন, মুদি দোকানী মো. রিপন সহ মুরগির দোকানের মালিক ছমির উদ্দিন এখনও তাদের ক্ষতিগ্রস্থ দোকানগুলো অর্থের অভাবে পূণরায় নির্মাণ করতে পারেনি। তাছাড়া পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর সময় পার করছে তারা।
এনিয়ে এক দোকান মালিক হোসেন জানায়, বন্দরের মধ্যে আমি একমাত্র সারের ডিলার । আগুনে পোড়ার পর স্থানীয় চেয়ারম্যান এহসান ও মেম্বার সহযোগীতহার আশ্বাস দিলেও পরে কেউ কোন খোজ খবর নেয় নি। আমরা খুব কষ্টে আছি। দোকানে প্রায় ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়ে গেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বন্দর থানার তন্দকারী কর্মকর্তা এস আই আনোয়ার জানান, ফায়ার সার্ভিসের সার্টিফিকেট পেলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি। তবে গরীব মানুষগুলোর যে ক্ষতি হয়েছে তার একটি ক্ষতিপূরন তারা পাবে।