নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : নারায়ণগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৮ জন। এ নিয়ে এই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ জনে। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জের দুজন চিকিৎসক ঢাকায় করোনা টেস্ট করিয়েছেন। যার পরিসংখ্যান ঢাকায় যুক্ত করা হয়। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুরের বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানান মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় জেলাতে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৬ জন। মৃতের সংখ্যা ছিল একজন। তবে, বিকেলের দিকে আরও একজন ব্যবসায়ী মারা যান। যা এই এই চব্বিশ ঘণ্টার হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে। দেশে প্রথমবার তিন জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল ৮ মার্চ। যার দুজনই ছিলেন নারায়ণগঞ্জের। পরবর্তীতে তাদের সংস্পর্শে গিয়ে আক্রান্ত হন আরও একজন। মাঝে অনেকদিন বিরতি দিয়ে চতুর্থ করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় ২ এপ্রিল।
তবে, চতুর্থ আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার দুদিন আগেই তিনি মারা যান। যা করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলায় প্রথম মৃত্যু। এরপর তিন এপ্রিল পঞ্চম ও চার এপ্রিল ষষ্ঠ আক্রান্ত রোগীর হিসেবে নাম আসে একজন চিকিৎসক ও আরেকজন ব্যবসায়ীর। তাদের মধ্যে ব্যবসায়ী কুর্মিটোলাতে মারা যান। তার মৃত্যুরে পরই রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। এদিকে করোনা আক্রান্ত পঞ্চম ও ষষ্ঠ ব্যক্তির পর একই সঙ্গে ৬ এপ্রিল ৫ জন আক্রান্ত হন নারায়ণগঞ্জে। এরপরদিন এই সংখ্যা দাঁড়ায় ১২ জনে।
৭ এপ্রিল নতুন করে আক্রান্ত হন ১৫ জন। ৮ এপ্রিল সকালের দিকে আইইডিসিআর থেকে একজন আক্রান্তের কথা নিশ্চিত করলেও সন্ধ্যায় এ সংখ্যা ৮ জনে দাঁড়ায়। পরদিন ৯ এপ্রিল আক্রান্তের তালিকায় নতুন করে আরও ১৩ জন। ১০ এপ্রিল ১৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে সর্বশেষ আইইডিসিআর জানিয়েছে নতুন আরও ৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সরকারি হিসেবে মতে যার মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৩ জন।
এদিকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন চিকিৎসক রয়েছেন। একজন নার্স, একজন ওয়ার্ডবয়ও রয়েছেন। এছাড়াও অন্তত ৭ জন নারী, একজন শিশুর আক্রন্তের খবর পাওয়া গেছে। জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যু হয় বন্দরের রসূলবাগ এলাকার শিউলী ওরফে পুতুল (৫০) নামে এক নারীর। তিনি ৩০ মার্চ মারা গেলে আইইডিসিআর তার নমুনা সংগ্রহ করে, ২ এপ্রিল পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া যায়। পুতুলের সংস্পর্শে থাকায় তার মেয়ে এবং ভাগিনাও আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে তরা সাজেদা হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছেন।