নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : র্যাব-১১ এর অভিযানে ফেনী সদর তেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের নিকট থেকে বিপুল পরিমাণ উগ্রবাদী বই, লিফলেট, ল্যাপটপ ও হার্ডডিস্ক উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-মাওলানা মো. সাইফুল্লাহ্ (৩৫), মো. মাহাদী ওরফে মেহেদী হাসান ওরফে দাউদ (৩০), মাওলানা আজিজুল হক (৪১) ও হাফেজ মাওলানা ইদ্রিস (৪০)। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. আলেপ উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে।
এর আগে বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাতে ফেনী জেলার সদর থানাধীন মায়ানিবাস, পশ্চিম বিজয়শিং ও সিলোনিয়া হাজির বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির এ ৪ জন এহসার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানা যায় যে তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এর সক্রিয় এহ্সার সদস্য ও দাওয়াতী শাখার সমন্বয়কারী। তারা ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত জঙ্গী সংগঠন হারকাতুল জিহাদ (হুজি) করত। ২০০৩ সালে হুজি এর কার্যক্রম কমে যাওয়ার পর ২০০৪ সালে জেএমবি এর আধ্যাত্মিক নেতা আতিকুল্লাহ্র মাধ্যমে তারা জেএমবি’তে যোগদান করে।
জেএমবি’তে যোগদানের পর নারায়ণগঞ্জসহ দেশেরে বিভিন্ন অঞ্চলে জেএমবি এর সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে আসছিল। তারা অনলাইন হতে উগ্রবাদী বই ও ভিডিও ডাউনলোড করত: বিতরণ করে জেএমবি এর সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দাওয়াতি শাখার কাজ করে আসছিল। তারা নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও এর আশে পাশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকবার বৈঠকে মিলিত হয়।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ গোপনে সংগঠিত হয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এবং আইন শৃংখলা বাহিনীর উপর হামলার ও জেল থেকে আটককৃত জেএমবি’র সদস্যদের মুক্ত করার পরিকল্পনা এবং সংঘঠনের জন্য তহবিল সংগ্রহ করে বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কর্মকান্ড করার অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করে তারা দীর্ঘদিন যাবৎ গোপনে সংগঠিত হয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এবং নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানায় র্যাব।
