নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( মো: সহিদুল ইসলাম শিপু ) : বন্দর উপজেলার বেশ কয়েকটি খাবার হোটেল-রেস্তোরা ও মিষ্টির দোকানে অবাধে অবৈধ গ্যাসের ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নবীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন তাজ রেস্তোরা, বন্দর ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যলয় সংলগ্ন চুন্নু মিয়ার হোটেল এন্ড মিষ্টির দোকান, বন্দর ১নং খেয়াঘাট সংলগ্ন রোজ্জা রেস্তোরা, মদনপুর স্ট্যান্ডে ভান্ডারী হোটেল, আল আমিন মিষ্টান্ন ভান্ডার, মায়ের দোয়া রেস্তোরা, বাবুল ভান্ডারী হোটেল, বিসমিল্লাহ হোটেল, প্রিন্সেস ডায়না মিষ্টান্ন ভান্ডারসহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে অবাধে গ্যাসের ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের খনিজ সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে না এমনকি উক্ত খাতে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
এদিকে উপজেলা কর্তৃক কয়েকবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে উক্ত হোটেলগুলোকে মোটা অংকের জরিমানা করা হলেও আবারও তারা অবৈধ গ্যাসের সংযোগ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন বলে জানা গেছে। যার ফলে প্রতিদিন প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার গ্যাসের ব্যবহার হচ্ছে।
এ ব্যাপারে একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের বলেন, অবৈধ গ্যাস বানিজ্যের সাথে যেখানে জনপ্রতিনিধিরাই জড়িত সেখানে প্রতিকারের কথা বলাও হাস্যকর। বন্দরে সর্বত্রই এখন অবৈধ গ্যাসের রমরমা বানিজ্য চলছে। এই অবৈধ গ্যাস সিন্ডিকেটদের স্বয়ং জনপ্রতিনিধিরাই সেল্টার দিচ্ছে। কেননা এই অবৈধ গ্যাস চোর চক্রের সাথে জড়িত তাদের ভাই কিংবা ভাতিজারা। প্রশাসন পদক্ষেপ নিলে উপড় মহল থেকে ফোন আসে তারা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। যে দেশে রক্ষকই ভক্ষক হয় সে দেশে কখনোই আইনের শাষন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তবে প্রশাসন ও মিডিয়াকর্মীরা যদি সঠিকভাবে সমাজ ও দেশের জন্য কাজ করে এবং এ ক্ষেত্রে যদি জনপ্রতিনিধিরা একাত্বতা প্রকাশ করে তবেই সমাজ তথা দেশের উন্নয়ন সম্ভব। এ বিষয়টিকে আমলে নিয়ে এই অসাধূ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ভ্রাম্যমান আদালতের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছে সচেতন মহল।