নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রির্পোটার ) : শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধারকৃত নারীর লাশটি বন্দর উপজেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সেবিকা (নার্স) নাজনীন আক্তারের। প্রথমে অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার করলেও বন্দর থানায় ঈদের দিন নিহতের বাবা গোল্লার শিকদারের দায়ের করা জিডির প্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামের অনুরোধে লাশ দেখতে এসে পরিচয় মিলে নিহতের ।
তিনি ঈদের দিন সকাল থেকে নিখোজ হন বলে জানান নিহতের বাবা, বোন শিপা আকতার ও ভাই বায়েজিত । ১৩ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের লঞ্চ টার্মিনাল ঘাট এলাকার শীতলক্ষ্যা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ মর্গে পাঠায়।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) ফয়সাল হাওলাদার জানান, অজ্ঞাত পরিচয়ে নারীর লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর পর বন্দর থানা থেকে খবর পেয়ে লাশ শনাক্ত করে নিহতের বাবা, বোন ও ভাই। তবে এটি হত্যা কি না ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।
বন্দর থানায় দায়ের করা জিডির তদন্তে দায়িত্বে থাকা উপ পরিদর্শক প্রদ্যুৎ সরকার বলেন, নিহত নাজনীন আক্তারের সাথে তরিকুল ইসলামের বিয়ে হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে । আসলেই কি ঘটনা তা তদন্ত না করে বলা যাবে না ।
নারায়ণগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা বলেন, নিহত নারী বন্দর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবিকা হিসেবে চাকরী করতেন । তার সাথে সাতক্ষিরা জেলার জনৈক তরিকুল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়েছিলো বলে শুনতেছি ।
এমন ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, আমি মন্ত্রণালয় থেকে শুনেছি ঈদের দিন থেকে নিখোজ রয়েছে সেবিকা নাজনীন আক্তার । আজ বিকেলে আবার জেনেছি তার লাশ উদ্ধার হয়েছে । আসলে ছুটির মধ্যে কি হয়েছে তা তদন্ত করলেই বেড়িয়ে আসবে ।