নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রির্পোটার ) : নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন তারাব এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নৌ-পথে চাঁদাবাজিকালে ৮ জনকে হাতে-নাতে আটক করে র্যাব-১১ দল। ৪ আগস্ট রবিবার বিকালে রূপগঞ্জ থানাধীন তারাব এলাকায় সুলতানা কামাল ব্রীজের নীচে শীতলক্ষ্যা নদীর থেকে আটক করা হয়। আটককৃত আসামী হলেন ১/ মো. মেহেদী হাসান(২৫) ২/ মো. আলমগীর হোসেন (৩১), ৩/ মো. আনোয়ার হোসেন (২৪), ৪/ মো. মোমিন (৪০), ৫/ মো. আকতার হোসেন (২০), ৬/ মো. কাওসার হোসেন (২৯), ৭/ মো. রানা মিয়া (২৩) ও ৮/ মো. জহিরুল ইসলাম (১৯)। এ সময় তাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির নগদ ১ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা, চাঁদাবাজিতে ব্যবহৃত ২টি ইঞ্জিনচালিত নৌকা জব্দ করা হয়।
র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জসিম উদ্দীন চৌধুরী পিপিএম গন্যমাধ্যমকে বিবৃতে জানান, আসন্ন ঈদ-উল-আযহাকে কেন্দ্র করে গুরুত্বপূর্ন মহাসড়কে ও নৌপথে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ন্য দমনে র্যাব অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় অভিযান পরিচালনা করে নৌ-পথে চাঁদাবাজিকালে ৮ জনকে হাতে-নাতে আটক করা হয়। আটককৃত আসামী ও নৌ-শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় দীর্ঘদিন ধরে উক্ত চাঁদাবাজ চক্র শীতলক্ষ্যা নদীতে চলাচলরত প্রত্যেক নৌযান হতে শুল্ক আদায়ের নামে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০০ টাকা থেকে ৩৫০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করে আসছে।
তিনি আরো বলেন, অনুসন্ধানে আরো জানা যায় ডেমরা এলাকার কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান পলিন বিআইউবি উটিএ থেকে তারাবো ব্রীজ হতে কাঞ্চন ব্রীজ পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদীর উভয় তীরে মালামাল লোড-আনলোডের শুল্ক আদায়ের ইজারা নিয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী বিআইডবি উটিএ কর্তৃক নির্মিত ঘাট বা প্লাটুন ব্যবহার করে কোন মালামাল লোড-আনলোডের জন্য ইজারাদার নির্ধারিত হারে শুল্ক আদায় করার কথা এবং নদীতে চলাচলরত নৌযান থেকে শুল্ক বা চাঁদা আদায় সম্পূর্ন বেআইনী। কিন্তু একটি সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্র ইজারার নামে নদীতে চলাচলরত প্রত্যেক নৌযান থেকে দীর্ঘদিন ধরে জোর পূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছে। শীতলক্ষ্যা নদীতে চলাচলরত অধিকাংশ নৌযানের গন্তব্য থাকে নরসিংদী, গাজীপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলা। ঐ নৌযান গুলো ইজাদারের আওতাধীন এলাকা অর্থাৎ তারাবো ব্রীজ থেকে কাঞ্চন ব্রীজ এলাকার মাঝামাঝি কোথাও থামে না। তারপরও উক্ত চাঁদাবাজ চক্র তাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে নদীতে চলাচলরত অবস্থায় চাঁদা আদায় করে। এমনকি চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে নৌযান শ্রমিকদের মারধর করে থাকে উক্ত চাঁদাবাজ চক্র। নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আটককৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।