নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : শহরজুড়ে ব্যস্ত সড়কের উপরে পার্কিং নৈরাজ্য ভয়াবহ অবস্থায় পরিণত হয়েছিল। এতে করে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হত। চরম দুর্ভোগে পড়তে হত সড়কে চলাচলকারী সব শ্রেণীপেশার মানুষকে। তবে সড়কের পাশাপাশি এবার ফুটপাতেও মোটর সাইকেল পার্কিংকারীদের শাস্তি দিতে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে দেখা গেছে পুলিশকে। সম্প্রতি ফুটপাতে হকারের পর অবৈধ পার্কিং নিয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ায় জনমনে এখন স্বস্থির নিশ্বাস।
তবে নগরবাসী বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন স্থাপনা সহ অফিস আদালত গড়ে উঠলেও জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টরা এর প্রেক্ষিতে তেমন কোন পদক্ষেপ নেননি। অনেকেরই অভিযোগ, পার্কিং নৈরাজ্যের মূল কারণ হলো শহরে প্রধান সড়কের পাশে গড়ে উঠা বহুতল ভবনগুলোর অধিকাংশতেই নেই পার্কিং ব্যবস্থা। অথচ বেশির ভাগই বড় মার্কেট, সরকারী বেসরকারী অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আবার থাকলেও সেগুলো শুধুমাত্র নিজস্ব ব্যবহারে বরাদ্ধ রাখা হয়েছে। তাই জায়গা খালি পড়ে থাকলেও বিভিন্ন কাজে আগতদের পার্কিং করতে ব্যবহার করতে দেয়া হয়না। তাই অনেকটাই বাধ্য হয়েই সড়কে না হলেও ফুটপাতের কোন এক অংশে তাদের পার্কিং করতে হচ্ছে। তাই নগরবাসী মনে করেন, সড়কের পাশে ভবনগুলোর মালিকদের ব্যপারে এখন থেকেই যদি কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করা হয় তাহলে এর ভয়বহতা আরো বৃদ্ধি পাবে।
প্রসঙ্গত, বৃহষ্পতিবার (২০ জুন) সরেজমিনে শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় ফুটপাতের উপর মোটর সাইকেল পড়ে থাকতে দেখা গেছে। পুলিশ মোটর সাইকেলের লুকিং গ্লাস, হেলমেট খুলে মোটর সাইকেল ফুটপাতে শুইয়ে রেখে কোনো মামলা না দিয়ে চলে যাচ্ছে। এতে করে অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেছে অবৈধ মোটর সাইকেল পার্কিংও। তবে অনুসন্ধানে দেখাগেছে, চাষাঢ়া খাজা সুপার র্মাকেট, খানপুর হাসপাতালের সামনে, জাকির সুপার মার্কেটের সামনে, পপুলার ডায়গনস্টিক, গলাচিপা শ্যমলী কাউন্টারের সামনে, আলম খান লেন সহ ২নং রেলগেইট সংলগ্ন মিড টাউন, মন্ডল পাড়া পর্যন্ত এখনও অবৈধভাবে সড়কেই গাড়ি পার্কিং করায় তীব্র যানজট লেগেই থাকছে। আবার কখনও কখনও সড়কেই চলছে বোঝাইকৃত মালামাল উঠানামা।