কর্মকর্তা কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও শাস্তি চায় সাধারণ মানুষ
নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : নারায়ণগঞ্জ আদালত পাড়ায় সক্রিয়ভাবে অবস্থান করছে একশ্রেনীর দালাল চক্র। টাকার বিনিময়ে জমির পর্চা, খতিয়ান সহ বিভিন্ন প্রকার কাজগপত্র খুব সহজেই তুলে আনতে এরা পারদর্শী। আর তাদের কাছে প্রতিনিয়তই হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে ধরা পড়ে যায় এই দালাল চক্রের দুইজন সদস্য।
জানা গেছে, র্দীঘদিন যাবত অভিযোগ রয়েছে দালালদের খপ্পরে পড়ছে সাধারণ মানুষ। সহজ উপায়ে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন কাগজপত্র তুলতে রীতিমত প্রতারণার শিকার হতে হয় অসহায় মানুষগুলোর। তবে অবৈধ প্রন্থা অবলম্বনের কারণে ভুক্তভোগী অনেকেই এ বিষয়ে কোন প্রতিবাদ করতো না। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আদালত পাড়ার দালাল চক্র ও বেশ সক্রিয়।
এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার এক গণমাধ্যমকর্মী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভবনে অবস্থিত রেকর্ড রুমে অনুসন্ধানে যায়। যেখানে মজুদ থাকে জেলার সকল জমিসংক্রান্ত কাগজপত্র। ওইসময় জনৈক ব্যাক্তি অবস্থান করছিল। কৌশলে খতিয়ানের দাগ নাম্বার চাইলে তার (গণমাধ্যমকর্মী) কাছ থেকে চাওয়া হয় ১৫০০ টাকা। অথচ দাগ নাম্বার নেয়ার জন্য কোন টাকার দরকার হয় না। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এবং হাতে নাতে জাল ও নকল সাইন করা কাগজ পত্র সহ আবু বকর সিদ্দিক নামে দালাল চক্রের সদস্যকে পুলিশে দেয়া হয়।
এদিকে, বারের সভাপতির হাতেও ধরা পড়ে আরেকজন প্রতারক সদস্য। যার বৈধ লাইসেন্স ২০১২ সালেই শেষ। অথচ সকল কাগজ পত্রে সরকারী সিল ও সাক্ষর নকল করে প্রতারণা করছে। তাকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। এরপর এক এক করে সেখান থেকে কেটে পরে স্ট্যাম্প ভ্যান্ডার বিক্রেতারা। তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতী চলছে বলে জানা গেছে।
অপরদিকে, নারায়ণগঞ্জের আদালত পাড়ায় এমন ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তবে এ বিষয়ে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি রেকর্ড রুমের দ্বায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মো. শাহনেওয়াজ। এতে করে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে তাহলে এধরণের দালাল চক্রের সদস্যদের প্রশ্রয় দিচ্ছে কারা? কিভাবেই বা তারা, কাদের সহযোগীতায় দাপ্তরিক সুবিধা নিয়ে থাকে। দালাল চক্রের এই সদস্যদের কাছ থেকে তথ্য বের করে উন্মোচিত করা হোক তাদের মুখোশ। কেনই বা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক তদারকি নেই! এজন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা কেউ যদি জড়িত থাকে তাদেরকেও আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক, এমনটাই দাবী জানান সাধারণ মানুষ।