নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা নিয়ে আড়াইহাজার থানায় ঢুকে পুলিশকে শাসিয়েছে স্থানীয় ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ সময় পুলিশের সাথে ছাত্রলীগের কর্মীদের তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়। পরে বিষয়টি জেলা পুলিশকে অবহিত করা হলে পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ এএসআই শরিফকে রাতেই ক্লোজড করে নেয়। শুক্রবার রাতে আড়াইহাজার থানার ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।
আড়াইহাজার সরকারি সফর আলী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) আল-আমিনই ঘটনার কেন্দ্র বিন্দুতে। ঘটনার সময় কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে থানার বাইরে এলে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী।
আড়াইহাজার থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, জিএস আল-আমিনসহ আরও ৫ থেকে ৬ জন রাতে থানায় এসে জিডির লিপিবদ্ধের খাতা নিজেরাই খোঁজাখুঁজি করছিলেন। এ সময় ডিউটি অফিসার শরিফ তাতে বাঁধা দেয়। পরে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগ কর্মীরা প্রথমে এএসআই শরিফ ও পরে এসআই ফায়জুর রহমানের সঙ্গে প্রচণ্ড বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এসআই মোস্তাফিজ, এসআই হেলাল, এএসআই আউয়াল ও এএসআই মোস্তফা এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। এসআই মোস্তাফিজ এসময় জিএস আল-আমিনের জামার কলারে ধরে টানাটানি করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে ডিউটি অফিসারের দায়িত্বে থাকা এএসআই শরিফ জানান, রাতে আল-আমিন একটি জিডি খোঁজ করছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি নিজেই জিডি লিপিবদ্ধের খাতা হাতে নিয়ে দেখার চেষ্টা করেন। পরে তাতে বাধা দেওয়া হলে তারা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
এদিকে মোবাইলে ধারণকৃত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ছাত্রলীগ কর্মীরা প্রথমে এএসআই শরিফের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে তারা এসআই ফায়জুর রহমানের কক্ষে চলে যান। সেখানে গিয়েও তারা বাকবিতণ্ডা চালায়। বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে তারা থানা থেকে বের হয়ে যায়।
এএসআই ক্লোজডের বিষয়টি নিশ্চিত করে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, ঘটনার সময় আমি থানায় ছিলাম না। কে দোষি এখনই আমি বলতে পারছি না। তবে বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।