নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্ট ) : জাতীয় সংসদ নির্বাচন পেছানোসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে আগামীকাল বুধবার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) যাচ্ছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। এতে নেতৃত্ব দেবেন ফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন।
১৩ নভেম্বর মঙ্গলবার মতিঝিলে ড. কামালের চেম্বারে জোটের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আমরা যে দাবি করেছি নির্বাচন এক মাস পিছিয়ে দেওয়ার জন্য এটা অত্যন্ত জরুরি। আমরা আগামীকাল বুধবার দুপুর ১২টায় আমাদের এ দাবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যাব। ড. কামাল হোসেন সাহেবসহ জাতীয় নেতারা সেখানে থাকবেন। আমরা আশা করব, নির্বাচন কমিশন আমাদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
নির্বাচন আরও পেছানোর দাবি নাকচ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ভোটের তারিখ ৩০ ডিসেম্বরের পরে নেওয়ার সুযোগ নেই।
সিইসির বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সে জন্য তো যাচ্ছি। উনি (সিইসি) স্পষ্ট করে বললেই তো হবে না। আমরা আমাদের দাবি-দাওয়াগুলো অবশ্যই বলব। সিইসি তো সব একাই বলে যাচ্ছেন।
নির্বাচন এক মাস পেছানোর পক্ষে যুক্তি দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন এক মাস পেছাতে আমরা দাবি করেছি এজন্য যে, তফসিল যে সময় ঘোষণা করা হয়েছে সে সময়টিতে বড় দিনের ছুটি থাকে। ওই সময়টি আমাদের খ্রিস্টান সম্প্রদায় একটা উৎসবের আমাজে থাকেন, তাদের ধর্মীয় বড় দিন।
তিনি বলেন, এ ছাড়া নববর্ষ আসছে, সেটা একটা বড় অনুষ্ঠান। একই সঙ্গে আমরা যে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আশা করছি, একটা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন দেখার জন্য তাদের সেই সুযোগও থাকছে না যদি ওই সময়ে ভোট হয়।
পুন:তফসিলে ৩০ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ রাখায় ঐক্যফ্রন্ট হতাশ হয়েছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, আমরা মনে করছি, কমিশন একটা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন করবার ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী নয়। নির্বাচন কমিশনে কোন বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে তা ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা কামাল হোসেন আগামী ১৬ নভেম্বর সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। পরে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্তাদের সঙ্গেও সম্পাদকদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন। নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বিএনপি কী ভাবে আসন ভাগাভাগি করবে, সে সিদ্ধান্ত আরও পরে নেওয়া হবে জানান ফখরুল।
ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে তার মতিঝিলের চেম্বারে জোটের এ বৈঠকে মির্জার ফখরুল ছাড়াও জেএসডির আবদুল মালেক রতন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকী, গণফোরামের মোস্তফা মহসিন মুনটু, মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মো. মনসুর আহমদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জাফরুল্লাহ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।