নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( ডেস্ক রিপোর্টার ) : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা দিয়েছেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত।
খালেদা জিয়া ছাড়াও মামলার বাকি সব আসামিকে একই সাজা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ট্রাস্টের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের রায় দেয়া হয়েছে।
পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান ২৯ অক্টোবর সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় এজলাসে উঠেই রায় পড়া শুরু করেন। আদালত সেখানে মামলার ১৫টি বিবেচ্য বিষয় তুলে ধরেন। এর নিরীখেই রায় ঘোষণা করেন বিচারক। মামলার অন্যতম আসামি হারিছ চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রায়ে বলা হয়, সার্বিক সাক্ষ্যপ্রমাণে যা মনে হয়, প্রত্যেক আসামিই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। এতে তারা সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়ার যোগ্য। এ কারণে খালেদা জিয়াসহ চার আসামিকেই সংশ্লিষ্ট আইনে সর্বোচ্চ শাস্তির আদেশ দেয়া হয়েছে।
রায়ের পর দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছিলাম, আমরা সফল হয়েছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। আমরা সন্তুষ্ট।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধ ভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা লেনদেনের অভিযোগে বেগম খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। অন্য আসামিরা হলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর সাবেক এপিএস জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার এপিএস মনিরুল ইসলাম খান।
ওই মামলায় ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয় ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ। মামলার বিচার চলাকালীন তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের প্রতি বেগম খালেদা জিয়া অনাস্থা দিলে বিচারের জন্য পাঠানো হয় ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ওই আদালতে মামলাটি আড়াই বছর ধরে যুক্তিতর্কের পর্যায়ে ছিল।
শেষ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়া যুক্তিতর্কে অংশ না নেয়ায় তার অনুপস্থিতিতেই বিচার চলার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। অবশেষে গত ১৬ অক্টোবর মামলাটির রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন বিচারক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ড হওয়ার পর থেকে কারাগারে বন্দী বেগম খালেদা জিয়া। তবে চিকিৎসার জন্য বর্তমানে তাকে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে।