নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রির্পোটার ) : নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ ) আসনের এমপি শামীম ওসমান বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সামনে কঠিন সময় আসছে। দেশ কী আফগানিস্তান হবে নাকি দেশ এগিয়ে যাবে। সে সিদ্ধান্ত দেশের মানুষকে নিতে হবে। মির্জা ফখরুল আর ড. কামালেরা এখন নির্বাচনের জন্য মাঠে নামে নাই। তারা মাঠে নেমেছেন নির্বাচনকে বানচাল করতে। বিএনপি জানে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
২৭ অক্টোবর শনিবার বিকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইরে একেএম সামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে অনুষ্ঠিত জনসভায় তিনি এমন কথা বলেন। এসময় বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বিশাল মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে পৌছালে হাজার হাজার নেতাকর্মীর ঢল নামে ।
তিনি আরও বলেন, ড. কামালদের বলছি যদি মনে করেন আমাদের উপর আঘাত করবেন করেন আপত্তি নাই। কিন্তু আমার দেশের একজন জনগণের উপর আক্রমণ হলে নারায়ণগঞ্জবাসী আর বসে থাকবে না। তখন সবাই আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী ঢাকায় গিয়ে উঠবো। দেখবো তখন কে ঠেকায়। একদিন নেত্রীর কথায় ধৈর্য ধরেছি। কিন্তু আর না। যদি কেউ মনে করেন বাংলাদেশের মানচিত্রের উপর আঘাত করবেন, নেত্রীর উপর হামলা করবেন তাহলে আপনারা টিকতে পারবেন না। আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমরা পরাধীন হওয়ার জন্য রাজনীতি করতে আসি নাই। তখন কোন নির্দেশের জন্য বসে থাকবো না।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে শামীম ওসমান উপস্থিত সকলকে হাত মুঠো করিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করান। এতে শেখ হাসিনার প্রতি অবিচল থাকার পাশাপাশি নৈরাজ্য মোকাবেলার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এসময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি সকলকে অনুরোধ করবো। আপনারা প্রস্তুত থাকেন। এ লড়াইয়ে আমরা জিতবো। আবারো প্রধানমন্ত্রী হবেন শেখ হাসিনা। আবারো ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ। সকলকে চোখ কান খোলা রাখতে হবে। শত্রু কিন্তু আমাদের ভেতরেও আছেন। শুনতে পাই যুদ্ধাপরাধী অনেক পরিবারের সঙ্গে আমাদের অনেকের লোকজন যোগাযোগ রাখছেন। বলছেন পরিকল্পনা করছেন শামীম ওসমানকে ঠেকাতে।
ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি চন্দন শীল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ইসরাত জাহান খান স্মৃতি, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফউদ্দিন আহমেদ দুলাল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ প্রমুখ।