নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সোনারগাঁ সংবাদদাতা ) : সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম ও এসআই সাধন চন্দ্র বসাকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে সোনারগাঁ থানা কমিউনিটি পুলিশ। রবিবার দুপুরে সোনারগাঁ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সোনারগাঁ কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি গাজী মুজিবুর রহমানের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সনমান্দি ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম খোকন।
লিখিত বক্তব্যে বলেন, উপজেলার পৌর এলাকার দত্তপাড়া গ্রামের একটি জমি নিয়ে সানিফয়েল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ইকবালের সাথে সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মাসুম চৌধুরীর দীর্ঘদিন ধরে দ্বদ্ধ চলে আসছে। ওই এলাকায় আইন শৃঙ্খলা অবনতির আশংকায় সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলমের নির্দেশে এসআই সাধন চন্দ্র বসাক একটি নোটিশ জারি করেন। মাসুম চৌধুরির নির্দেশে ওই নালিশা সম্পত্তি জাহিদুল ইসলাম স্বপন ও আনিসুর রহমানসহ অজ্ঞাত কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা অবনতি করার লক্ষে ওই জমি দখলের চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে ওসি মোরশেদ আলম ও এসআই সাধন চন্দ্র বসাক ওই জমিতে উপস্থিত হলে আসামিরা পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে জাহিদুল ইসলাম স্বপন ও আনিছুর রহমানকে আটক করা হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টাকালে জাহিদুল ইসলাম স্বপন পড়ে গিয়ে আঘাত পান। পুলিশ তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। পরে সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, পৌর যুবলীগের সভাপতি আসাদুল ইসলামের জিম্মায় তাদের পরদিন ছেড়ে দেওয়া হয়। ছাড়া পেয়ে জাহিদুল ইসলাম স্বপন বাদী হয়ে ওসি ও এসআইকে আসামী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয় স্বপনের কাছে ওসি ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। এ মামলার প্রেক্ষিতে আদালত সহকারী পুলিশ সুপার পদ মর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে মামলাটি তদন্ত করার নির্দেশ প্রদান করেন।
উপরোক্ত ঘটনায় সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম ও এসআই সাধন চন্দ্র বসাকসহ পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে বলে দাবী করেন সোনারগাঁ কমিউনিটি পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে যারা এ মামলা দায়ের করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁ কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি গাজী মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গণি, যুগ্ম সম্পাদক শহিদ মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা সোহেল রানা, পৌরসভা কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি আমির হোসেন, বৈদ্যোরবাজার ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ইসমাঈল মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম, জামপুর ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি দেওয়ান কামাল, মানবধিকার কর্মী জাহানারা ও আনোয়ার হোসেন।