নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর সংবাদদাতা ) : বন্দরের মুছাপুর ইউনিয়নের অধীনে ঐতিহ্যবাহী তীর্থস্থান হিসেবে সমগ্র বিশ্বে পরিচিত লাঙ্গলবন্দ রাজঘাট এর সন্নিকটে তিলক যাত্রী নিবাস থেকে শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ ও পরশুরাম মন্দিরের উদ্যোগে সনাতন ধর্মালম্বীদের পরমেশ্বর ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
রবিবার দুপুরে শোভাযাত্রাটি তিলকযাত্রী নিবাস মন্দির থেকে শুরু হয়ে প্রেমতলা দিগ¦ীজয়ী বক্ষ্মচারীর আশ্রম, লাঙ্গলবন্দ শ্বশান ঘাট মন্দির, রাজঘাট দূর্গা মন্দির ও অন্নপূর্ণা মন্দির হয়ে আবার তিলকযাত্রী নিবাস মন্দিরে এসে শেষ হয়।
শুভ জন্মাষ্টমী তিথি আবির্ভাব উৎসব ২০১৮ উদযাপন কমিটির সভাপতি অজিত চন্দ্র পাল ও সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব চন্দ্র সাহা এর সার্বিক তত্বাবধানে উক্ত শোভাযাত্রায় লিটন চন্দ্র ঘোষ, বিমল চন্দ্র বিশ্বাস, শংকর চন্দ্র পাল, রতন চন্দ্র বৈরাগী, দিলীপ চন্দ্র দাস, পরিমল চন্দ্র বিশ্বাস, আকাশ চন্দ্র সাহা, লোকনাথ চন্দ্র শীল, শাওন চক্রবর্তী, মিনতি রানী বিশ্বাস, শংকর চন্দ্র রাজবংশী, সুকুমার কর্মকার, সজিত চন্দ্র দাস, দিলীপ চন্দ্র চক্রবর্তী, রবি চন্দ্র পাল, নিরাঞ্জন চক্রবর্তী, লোকনাথ কর্মকার, অলক মালাকার, পিন্টু মালাকার, সাগর চন্দ্র সাহা, মাধব চন্দ্র সাহা, মাখন চন্দ্র পাল, বজেন্দ্র চন্দ্র রাজবংশী, স্বপন চন্দ্র দাস, শ্যামল চন্দ্র দাস, সুদন চন্দ্র শীল, বিশ্বনাথ হালদার, কার্তিক চন্দ্র দাস, কাজল চন্দ্র বিশ্বাস, গৌরাঙ্গ পাল, নির্মল চন্দ্র শীল, স্বপন চন্দ্র সাহা, আশীষ চন্দ্র রায়, অনির্বাণ সাধু ও তপন সহ অত্র অঞ্চলের হিন্দু ধর্মের অনুসারী বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ ও শিশুরাও উক্ত শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। উলু ধ্বনি দিয়ে শুরু হওয়া শোভাযাত্রায় ডাক-ঢোল বাজিয়ে নেচে-গেয়ে ও শুভ শুভ শুভদিন, শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিন সহ নানান স্লোগানে মুখরিত করে উক্ত শোভাযাত্রাটিকে সাফল্যমন্ডিত করা হয়।
ধর্মের নামে দখল, ধর্মের নামে কুসংস্কার উপড়ে ফেলে সনাতন ধর্মের সকল বর্ণ এক হোক, সকল জাতি এক হোক, এই কামনা রেখে এই শোভাযাত্রা আয়োজন করা হয়। কথিত আছে দুষ্টের দমন ও সৃষ্টের পালন এই নীতিকে প্রতিষ্ঠা করা ও সমাজের সকল অন্যায়, অবিচার, অনাচার ও সমাজকে সকল নিপীড়ন থেকে বাঁচানোর জন্যেই শ্রী কৃষ্ণ এই দিনে মানব রূপে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন এবং প্রতিবছরের মত এবছরও এই দিনে শ্রী কৃষ্ণ পৃথিবীতে এসে তার ভক্তকূলের মাঝে বিচরণ করেন বলে বিশ্বাস করে হিন্দু ধর্মালম্বীরা। আর পরমেশ্বর ভগবান শ্রী কৃষ্ণকে খুশি করার জন্যই এ শোভাযাত্রা প্রতি বছর আয়োজন করা হয় বলে জানান এ আয়োজনের সাথে সম্পৃক্তরা।
