নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : রাজধানীর বিমানবন্দরে বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে চাষাঢ়ায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মুক্তিযুদ্ধাকালীন কমান্ডার ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান পরিষদ গোপীনাথ দাসকে ধাওয়া দিয়েছে বিক্ষুব্দ শিক্ষার্থীরা। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা চারদিক থেকে তাকে ঘিরে ধরে। এবং মারমুখী হয়ে উঠলে প্রাণ রক্ষায় দ্রুত একটি দোকানের ভেতর ঢুকে সার্টার নামিয়ে দেন।
এসময় উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা সার্টারের উপর ব্যাপক হামলা চালায়। এতে সার্টার অনেকটা ভেঙ্গে যায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ও আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে রক্ষা করে। দোকানের ভেতর থেকে বের করে আনে। পরে গোপী নাথ তার ভুল স্বীকার করে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা প্রাথনা করে। এরপর শিক্ষার্থীরা শান্ত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানায়, কমান্ডার গোপীনাথ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে বিরুদ্ধাচরন করে বিভিন্ন কটু কথা বলেছে৷ এ সময় তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দিয়েছেন৷ শিক্ষার্থীরা এই কথার প্রতিবাদ করলে তিনি তাদের ধমক দেন৷ এরপর শিক্ষার্থীরা কমান্ডার গোপীনাথের উপর চড়াও হয় এবং মারমুখী আচরণ করে৷
বুধবার (১ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে চাষাঢ়া রাইফেল ক্লাবের সামনে এই ঘটনা ঘটে৷
আন্দোলনরত কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা হলে শিক্ষার্থীরা জানান, গোপীনাথ আমাদের রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দিছে৷ সে বলেছে, আমরা নাকি ফাও আন্দোলন করতাছি৷ শাহ্জাহান খান নাকি হাসছে সেটা নাকি কোন দোষ না৷
গোপীনাথ দাস বলেন, আমি একটা অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলাম৷ আমার হাতে চারাগাছ ছিল৷ এ সময় ছাত্ররা আমার রিকশা থামিয়ে ভেতরে যেতে না করেন৷ এর বেশি কিছু আমি বলি নাই৷