আলোচিত হত্যাকান্ড প্রবীর ও স্বপন এর পরিবারের সাথে পুলিশ সুপারের সাক্ষাত

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক পিপিএম, বিপিএম এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষ ও কাপড় ব্যবসায়ী স্বপন কুমার সাহা আলোচিত হত্যা মামলার বাদি ও পরিবারের সদস্যরা। এসময় দুটি মামলা তদন্তকারী অফিসার ডিবির এস আই মফিজুল ইসলাম পিপিএম উপস্থিত ছিলেন। ২৯ই জুলাই রবিবার দুপরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যলয়ে গিয়ে তারা সাক্ষাত করেন। এসময় প্রবীর ও স্বপনের মামলার বাদিরা মামলার তদন্তে সন্তোষ প্রকাশ করে অভিযুক্তদের সর্বচ্চো শাস্তি দাবি করেন ।

প্রবীর চন্দ্র ঘোষ হত্যা মামলার বাদি ছোট ভাই বিপ্লব চন্দ্র ঘোষ জানান, মামলার তদন্ত নিয়ে আমি ও আমার পরিবার সন্তুষ্ট। এখন শুধু আমাদের দাবি অপরাধীর যেন সর্বোচ্চ শাস্তি হয় । আর তা দ্রুত র্কাযকর হয়। স্বপন হত্যা মামলার বাদি অজিত কুমার সাহা জানান, মামলা দ্রুত তদন্ত শেষ করে অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করা হউক । আমরা যেন তার বিচার দেখে যেতে পারি। মামলার তদন্তকারী অফিসার এস আই মফিজুল ইসলাম পিপি এম জানান, মামলার সমস্ত কার্যক্রম শেষ করে। অতি দ্রুতই অভিযোগ পত্র আদালতে দাখিল করা হবে ।জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, মামলার কার্যক্রম অতি দ্রুত শেষ করে অভিযোগ পত্র আদালতে দাখিল করা হবে। যেন অপরাধীদের দ্রুত শাস্তি হয় ।

উল্লেখ্য, নিখোঁজের ২১ দিন পর ৯ জুলাই রাত ১১টায় শহরের আমলপাড়া এলাকার রাশেদুল ইসলাম ঠান্ডু মিয়ার ৪ তলা ভবনের নিচে সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রবীরের খন্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘাতক পিন্টু ওই বাড়ির দুই তলার একটি ফ্লাটে বসবাস করতো। গত ১৮ জুন রাত থেকে প্রবীর নিখোঁজ ছিল। তার সন্ধান দাবিতে দফায় দফায় আন্দোলন চালিয়ে আসছিল স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ কালিরবাজার স্বর্ণপট্টির ভোলানাথ জুয়ের্লাসে মালিক ভোলানাথ ঘোষের ছেলে। পরে এ তদন্ত কার্যক্রম শেষ হতে না হতেই কাপড় ব্যবসায়ী স্বপন কুমার সাহা হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন হয়। এবং পিন্টু আদালতে স্বিকারোক্তী জবানবন্দী দেয় বান্ধবী রতœা রানিকে নিয়ে স্বপনকেও ৭ টুকরো করা হয়, তা শীতলক্ষা নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত