নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : ফতুল্লার বাংলাবাজার সরদার বাড়ীর বাসিন্দা এক ব্যবসায়ীর ঘর থেকে ১০ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার চুরি গেছে। এ বিষয়ে দুই চাচাতো ভাইকে দায়ি করে ব্যবসায়ী আবিদ হোসেন ১২ জুলাই ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এরা হলো একই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে তানজামিন (২৫) ও তানভীর আহাম্মেদ নয়ন (৩৪)। ১৪ জুলাই শনিবার বিকেলে এসআই আব্দুস শাফীউল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত করেছেন। এ সময় এসআই শাফিউল আলম আশপাশের লোকজনের কাছে ঘটনা জানতে চান। তিনি ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলে জানান। তবে এখনো চুরি যাওয়া স্বর্ণ উদ্ধার হয়নি।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী আবিদ হোসেন (৩৮) অভিযোগে উল্লেখ করেন, বিবাদী ১। তানজামিন (২৫), ২। তানভীর আহাম্মেদ নয়ন (৩৪) সম্পর্কে আমার চাচাতো ভাই হয়। বিগত কয়েক বছর পূর্বে উক্ত বিবাদীদ্বয়ের মাতা বকুল বেগম (৫৫) এর কাছে আমার অনুমান ১০ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার গচ্ছিত ছিল যা উক্ত বিবাদীদ্বয় জানতো। অত:পর আমার পিতা বিবাদীদ্বয়ের মায়ের কাছ থেকে উক্ত স্বর্ণালঙ্কার নিয়া যায়। এ যাবৎকাল বিবাদীদ্বয় ঘর থেকে আমার স্বর্ণালঙ্কার নেয়ার বিভিন্ন চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। আমি ও আমার পিতা প্রতিদিন বিকাল অনুমান ৫ টার সময় আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে যাই এবং রাত ৯ বাসায় ফিরি। ঐ সময় আমাদের বাসায় কেউ থাকেনা।
গত ১০ জুলাই আমি ও আমার পিতা শারীরিক অসুস্থ্যতার জন্য বাসা থেকে বের হইনি। অত:পর ঐ দিন বিকেল ৪ টার সময় আমার উক্ত স্বর্ণালঙ্কার গচ্ছিত রাখার আলমারী খুলতে গিয়ে দেখি যে, আমার আলমারীর চাবী দ্বারা আলমারীটি খুলছেনা। পরবর্তীতে চাবী মিস্ত্রি দিয়ে সন্ধ্যা অনুমান ৭ টায় আলমারী খুলে দেখি যে, আমার আলমারীতে রক্ষিত ১০ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার ও আমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদী নাই। সম্ভাব্য স্থান সমূহে অনেক খোঁজাখুঁজি করে ব্যর্থ হই। বিবাদীদ্বয় ৫ জুলাই থেকে ১০ জুলাই এর মধ্যে যে কোন বিকেলে এই অঘটন ঘটিয়েছে। উক্ত বিবাদীদ্বয় আমাকে আর্থিকভাবে ক্ষতি করেছে। বিবাদীদ্বয় এরূপ কার্যকলাপ আরো ঘটাতে পারে বলে আমার আশঙ্কা হচ্ছে। বিষয়টি আত্মীয়-স্বজনের সাথে আলোচনা করে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বিলম্ব হল।