কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃবন্দকে হামলার প্রতিবাদে মানবন্ধন আগামীকাল

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ) : কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে বুধবার (৪ জুলাই) বিকাল ৪টায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন’র আয়োজন করেছে। জেলার সাংবাদিক, শিক্ষক, ডাক্তার, আইনজীবি, রাজনীতিবিদ, সাংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব ও পেশাজীবী অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা এই প্রতিবাদী মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করবেন। সমাজের প্রতিটি বিবেকবান মানুষ ও গণমাধ্যমকর্মীদের এই প্রতিবাদী  মানববন্ধনে অংশ গ্রহণের আহ্বান জনাচ্ছি।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, জেলা ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ।

কোটা প্রথা সংস্কারের মাধ্যমে তা ১০ শতাংশে কমিয়ে আনার দাবিতে কয়েক মাস আগে জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’র ব্যানারে দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। প্রায় প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে এই আন্দোলন। আন্দোলনে ভীত হয়ে সরকার ‘কোটা প্রথা বাতিল’র মতো একটি ছলচাতুরির  ঘোষনার মাধ্যমে আন্দোলন বন্ধ করার চেষ্টা করেন।

তবে সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোটা বাতিলের ঘোষণার পরও কোন প্রকার প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আবারো আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’র নেতারা। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করার পূর্ব মূহুর্তে শনিবার আন্দোলনরত নেতা-কর্মীদের উপর নৃশংসভাবে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। খুঁজে খুঁজে অত্যাচার করা হয় আন্দোলনকারীদের। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারেও সোমবার নির্লজ্জভাবে হামলা চালানো হয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর। আন্দোলনকারী এক ছাত্রীকে নির্যাতনের ছবিও গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। হামলা চালানো হয় রাজশাহীসহ বিভিন্নস্থানের শিক্ষার্থীদের উপর।

গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে পাঠানো হয় আন্দোলকারীদের অন্যতম নেতা রাশেদ খানকে। আরেক নেতা ফারুক নিখোঁজ অবস্থায় থাকার পর মঙ্গলবার তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। এসকল ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিক সমাজ’র প্রতিবাদ সভায় হামলা চালিয়ে আটক করা হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ ও  বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বাকি বিল্লাহকে। পুলিশি হামলার শিকার হন গণসংহতি আন্দোলন’র প্রধান নির্বাহী জননেতা জোনায়েদ সাকিসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত দেশে যখন মানুষ হিসেবে সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার সকল পথ একে একে রুদ্ধ করে দেয়া হচ্ছে তখনই নারায়ণগঞ্জ গণসংহতি আন্দোলন এই জুলুমের বিরুদ্ধে এমন প্রতিবাদী মানববন্ধন আয়োজন করছে। সমাজের বিবেকবান মানুষের প্রতি আহ্বান, আসুন এই জুলুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার হই এবং নিজেকে মানুষ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করি। মগজের কারফিউ ভেঙ্গে অধিকার লড়াইয়ে নেমে আসি রাজপথে।

add-content

আরও খবর

পঠিত