হকারমুক্ত ফুটপাত, খুশি নগরবাসী

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ : শহরের ফুটপাত হকারমুক্ত হওয়ায় স্বস্তিতেই আছেন নগরবাসী। হকারদের পূনরায় ফুটপাতে বসানোর জন্য যারা আন্দোলন করছেন, তারা প্রায়ই বক্তব্যে বলছেন তারা সাধারন মানুষের জন্য ফুটপাতে ব্যবসা করছেন। অথচ সাধারন মানুষ বলছে ফুটপাতে হকার ভোগান্তির কারন। অন্যদিকে তাদের আরেকটি দাবি, হকারদের কারণে নাকি যানজট হয়। অথচ পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বলছে ফুটপাত দখলে যাওয়ার কারনে মানুষজন রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। রিক্সা লেনে মানুষ চলাচলের কারনে সৃষ্টি হয় যানজট।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ তারিখ সকালে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শাহিন শাহ পারভেজকে প্রত্যাহারের পর পরই পাল্টে যায় শহরের চিত্র। পুলিশ কঠোর মনোভাব নিয়ে শহরের হকার উচ্ছেদ করে যা আজ পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। শহর জুড়ে দেখা গেছে ফুটপাত ফাকা, মানুষজন স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করছেন। জ্যাম কমে এসেছে অনেকাংশে। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায় নারায়ণগঞ্জ শহর জুড়ে। একদিকে প্রশাসন এর কঠোর অবস্থান, অপরদিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থন নিয়ে হকাররা পুনরায় ফুটপাত দখলের দাবিতে আন্দোলনে সরব। এনিয়ে নারায়ণগঞ্জ বাসী হকারদের নিয়ে ইঁদুর বেড়াল খেলার রাজনীতির অবসান চান।

শহরের স্থানীয় ব্যাবসায়ী মোঃ আখতার ফারুক (৪২) জানান, হকারদের যন্ত্রনায় রাস্তায় চলাফেরা করা যেত না, রাস্তাঘাটে ভ্যান বসিয়ে জ্যাম তৈরী করে। তাছাড়া হকাররা নারায়ণগঞ্জের মানুষের কালচারের সাথে অবগত নয়। তারা বেচাকেনার সময় নারী-পুরুষ এর সাথে খারাপ ব্যাবহার করে এমন অভিযোগ রয়েছে অনেক। তাদের এর আগেও হকার্স মার্কেটে পুনর্বাসন করা হলেও তাঁরা সেই দোকান ভাড়া দিয়ে পুনরায় এখানে এসে ফুটপাত দখল করে রাখেন। আর রাজনৈতিক নেতাদের সমর্থন এর কারন হচ্ছে ভোট ব্যাংক পক্ষে নেয়া,যারা হকারদের থেকে মাসিক চাঁদা নিয়ে হকারদের আশ্রয় দিত, প্রশাসনের উচিৎ সেই চাঁদাবাজদের ধরে আইনের আওতায় আনা।

কালীর বাজার মোড়ে মেডিকেল ছাত্রী সোহানা আক্তার (২৩) জানান হকারদের উচ্ছেদের ফলে সাধারণ মানুষের উপকারের পাশাপাশি তাদের ব্যাপারটাও বিবেচনা রাখা উচিৎ, তবে তাদের রাস্তায় বসতে না দিয়ে অন্যত্র পুনর্বাসন করা দরকার।

এনিয়ে একজন হকার জীবন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নামে বেনামে যাদেরকে চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করতে হত, এখন আমাদের দুঃসময়ে তাদের দেখা নেই। হকারের পাশাপাশি রাস্তায় সিএনজি, প্রাইভেট কার এর অবৈধ পার্কিং নিয়ে তো পুলিশ কিছু বলে না, সব দোষ গরীব হকারদের।

তিনি আরো বলেন, আমাদের হকাররা তো মাদক ব্যাবসা করেনা কিংবা অনৈতিক কাজে লিপ্ত নয়। সঠিক পুনর্বাসন হলে তাঁরা রাস্তায় বসবেন না বলে জানান এই হকার। তবে কবে নাগাদ এই অচলাবস্থা কাটবে তা অধরাই রয়ে গেল। তবে সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন নারায়ণগঞ্জ এর ফুটপাত আর দখলে দেখতে চাননা নগরবাসী। তবে কবে নাগাদ এই প্রশাসন বনাম রাজনৈতিক দল সমর্থিত হকারদের অচলাবস্থা কাটবে তা অধরাই রয়ে গেল। তবে সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন নারায়ণগঞ্জ এর ফুটপাত আর দখলে দেখতে চাননা নগরবাসী।

add-content

আরও খবর

পঠিত