কাঁচপুরে যুবলীগের কার্যালয়ে গুলিবর্ষণ ॥ আটক-১

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( স্টাফ রিপোর্টার ) : সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিপরীত পার্শ্বে ও এসএস পেট্রোল পাম্পের সাথে যুবলীগের কার্যালয়ে শুক্রবার রাত ১০ টায় গুলি চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে সোনারগাঁও থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও ওসি (তদন্ত) ওবায়দুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে  পরিত্যাক্ত গুলি ও গুলির খোঁসা উদ্ধার করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলের অদূরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজও পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাছাড়া প্রত্যক্ষদর্শীদের দেয়া তথ্যমতে রাতেই কাঁচপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর থেকে রিফাত (২৭) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দেয়া তথ্য ও থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, শুক্রবার রাতে কাঁচপুরে অবস্থিত যুবলীগের কার্যালয়ে সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম খাঁন লিটন, সোনারগাঁও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, কাঁচপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুজ্জামান শহীন, যুবলীগ নেতা মাসুম আহম্মেদ, জাকির হোসেন সহ অন্যান্য যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশেষ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে না:গঞ্জ-৩ আসনে সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সারের পক্ষে বিভিন্ন প্রচারণা চালানোর বিষয়ে আলোচনা করছিলেন। হঠাৎ কে বা কারা ভিতরে অবস্থান করা নেতা-কর্মীদের টার্গেট করে গুলি চালায়। প্রাথমিকভাবে গুলির শব্দ বুঝতে সময় লাগলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই যখন গুলিটি মূল দরজার থাই গ্লাস ভেদ করে পানির ফিল্টারে আঘাত হানে তখনি তারা বিষয়টি গুলি চালানো হয়েছে বলে নিশ্চিত হন।

কার্যালয়ের ভিতরে অবস্থান করা নেতা-কর্মীরা সহায়তার জন্য সজোড়ে আওয়াজ করতে থাকলে নিকটস্থ পেট্রোল পাম্পের লোকজন দ্রুত কার্যালয়ের সম্মুখে আসলে তখন একটি প্রাইভেটকার ও তার পিছনে থাকা পালসার মটর সাইকেলে বসা ২জন আরোহী দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে মদনপুরের দিকে গাড়ি চালিয়ে চলে যেতে থাকে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান মটর সাইকেলে কুতুবপুরের রিফাত (২৭) ও আব্দুল্লাহর ছেলে সুমন (২৫) ছিল এবং তাদের দেয়া তথ্য মতে এবং গেল কয়েকদিনে এ কার্যালয়ের আশেপাশে তাদের অবস্থান ও তাদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় কুতুবপুর থেকে পুলিশ রিফাতকে সন্দেহজনক মনে করে রাতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় এবং অপর সন্দেহভাজন সুমন বর্তমানে পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে আরও জানা যায়, আড়াইহাজারের আবু সাঈদ (৫০) নামক এক ব্যক্তি যিনি প্রায় ৩০ বৎসর যাবৎ লিটন খাঁনের পরিচয়ে কাঁচপুরে ভাড়া থাকেন তার সাথে লিটন খাঁনের কিছু ব্যবসায়ীক বিরোধ চলছিল। আর পলাতক সুমন ও আটককৃত রিফাত তারা দূজনেই আবু সাঈদের ভাগিনা বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার ওসি মোর্শেদ আলমের সাথে ফোনে কথা বললে তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন ১জনকে আমরা আটক করেছি এবং জড়িতদের ধরতে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত আছে।

add-content

আরও খবর

পঠিত