নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( শহর প্রতিনিধি ) : বিচারপতি খায়রুল হকের বিচার ও গ্রেপ্তারের দাবীতে তিন দিনের কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ সভা করেছে বিএনপি পন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। ১৬ আগষ্ট বুধবার দুপুরে আইনজীবী ভবন প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি আইনজীবী ফোরামের প্রতিবাদ সভায় বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তারে সহ অপসারনের দাবি জানানো হয়।
এ সময় আইনজীবী ফোরামের সাবেক সভাপতি এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, বর্তমান সরকার তাদের মনগড়া মতো দেশ শাসন করছেন। তারা কোন আইনের শাসন মানে না। শেখ হাসিনার সরকার ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্টিত হয়ে তাদের ক্ষমতা বলে দলীয় লোকেরা সুপ্রিম কোর্টের গেইটে লাথি মেরেছিল। প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বে সাত সদস্য বিশিষ্ট যে রায় দিয়েছে সেই রায় বাংলার মানুষ মেনে নিয়েছে। কিন্তু বর্তমান অবৈধ সরকার জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয় নাই সেই সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে যেভাবে বিরোধীতা করছেন। তাই অবিলম্বে খায়রুল হককে আইন পরিষদের পদ থেকে অপসারন করতে হবে। তাকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আইনের আওতায় আনতে হবে। এ সময় তিনি বলেন এ রায়ের বিরুদ্ধে যেসব এমপি মন্ত্রীরা কথা বলেন তাদের গ্রেপ্তার সহ আদালত অবমাননা মামলা দিয়ে তাদের বিচার করতে হবে।
আইনজীবী ফোরামের সাবেক সাধারন সম্পাদক এডভোকেট জাকির হোসেন বলেন, আইনজীবীরা নিজেদের জন্য কিছু করে না। নিজেদের স্বার্থের জন্য কোন কিছু করে না। তারা দেশের মানুষের জন্য সব সময় নিবেদিত প্রান হয়ে কাজ করে। সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছে সে রায়ের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার এর দালাল সাবেক বিচারপতি এবি এম খায়রুল হক আজকে যে ভাষায় কথা বলছেন তা দেশের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করছেন। একজন বিচার পতি হয়ে আরেকজন বিচারপতির যে রায় দিয়েছেন সে রায়ের বিরুদ্ধে দিষ্টতা দেখাছেন। তিনি এতো বড় সাহস কোথায় থেকে পান তা সকলে জানেন বর্তমানের শৈরাচারী শাসক, শৈরাচারী সরকার ভোটার বিহীন সরকার ক্ষমতায় এসে আইন মানে না আইন নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছেন। তারা জনগনের পাশে না দাড়িয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রদান বিচারপতি যে রায় দিয়েছেন সে রায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে দেশের ভেতরে অরাজগতা সৃষ্টি করছেন। তারা আইনকে বৃদ্ধাআঙ্গুল দেখিয়ে আইনকে অপমাননা করছেন। তার পদ থেকে অপসারন করে অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করতে হবে।
সাবেক সাধারন সম্পাদক এডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা বলেন, একজন বিচারপতি যে অন্যায় করেছেন তার বহিঃপ্রকাশ তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। এদেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে হলে প্রথমে খায়রুল হককে গ্রেফতার করতে হবে। তাই অনতিবিলম্বে বাংলার মানুষ তার গ্রেফতারের দাবী জানাচ্ছে।
এডভোকেট আজিজুল হক হান্টুর সভাপতিত্বে বক্তব্যে রাখেন, এডভোকেট মাহফুজ মিয়া, এডভোকেট রফিক, এডভোকেট মুক্তার হোসেন, এডভোকেট খায়রুল আলম, এডভোকেট খোরশেদ আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডভোকেট আনোয়ার প্রধান, এডভোকেট মানিক, এডভোকেট সুমন, এডভোকেট শেখ আঞ্জুম রিফাত, এডভোকেট রাসেল, এডভোকেট ফাহিম সহ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সকল নেতৃবৃন্দরা।