নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( সোনারগাঁ প্রতিনিধি ) : নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার নোয়াব প্লাজায় অবস্থিত ‘কুইন গার্ডেন’ নামের একটি আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকালাপের আখড়ার অভিযোগে এলাকাবাসীর হামলা ও ভাংচুর। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেও কোন ফল না পাওয়ায় গতকাল শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ শেষে স্থানীয় কয়েকটি মসজিদের মুসল্লিরা একত্রিত হয়ে ওই হোটেলে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় মুসল্লিরা ওই হোটেলের ভেতরে প্রবেশ করে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে ৩ জন পুরুষ, ৪ জন মহিলা ও হোটেল ম্যানেজারসহ ৮জনকে আটকের পর গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপার্দ করে। বিক্ষুদ্ধ মুসল্লিরা এসময় হোটেলটিতে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ ঘটনায় হোটেল মালিকসহ আটককৃতদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার নোয়াব প্লাজায় অবস্থিত ‘কুইন গার্ডেন’ নামের একটি আবাসিক হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক কার্যকলাপ, মাদক ব্যবসা পরিচালিত হয়ে আসছে। এলাকাবাসী বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করলেও কোন ফল পায়নি। অভিযোগ উঠেছে, হোটেলটির মালিক পক্ষ প্রভাবশালী এক নেতার ছত্র ছায়ায় থেকে ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে এ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। মালিক প্রভাবশালী হওয়ার কারনে ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। গতকাল শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ শেষে কয়েকটি মসজিদের মুসল্লিরা একত্রিত হয়ে ওই হোটেলের অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবীতে মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা হোটেলটির ভেতরে প্রবেশ করে ম্যানেজার কালাম, তাপস, মাহবুবুর রহমান শাহীনসহ ৮জন নারী পুরুষকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
এ সময় সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাধন চন্দ্র বসাক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। মুসল্লিদের অভিযোগ, কুইন গার্ডেনে দীর্ঘদিন যাবত অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালিত হয়ে আসছিল। এ বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় মুসল্লিরা একত্রিত হয়ে গেষ্ট হাউজটির মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মুসল্লিরা আরো অভিযোগ করেন, কুইন গার্ডেনের মতো পিরোজপুর এলাকায় মীম বডিংসহ দুটি আবাসিক হোটেলে এ ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ হচ্ছে। প্রশাসন এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এ বিষয়ে নোয়াব প্লাজার মালিক নোয়াব প্রধান বলেন, আমি এ হোটেলের মালিক না। আমার কাছ থেকে গোডাউনের কথা বলে ভাড়া নেওয়া হয়। সোনারগাঁও থানার ওসি মোঃ মোরশেদ আলম পিপিএম বলেন, অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনার অভিযোগে মালিকসহ আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করবে।