নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( শিপু ) : নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বন্দরের পূর্বপারা- বাগবাড়ি সংযোগ সড়ক ড্রেনসহ আরসিসি রাস্তা নির্মাণ কাজে চরম অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগের সংবাদ প্রকাশ ও সাংবাদিককে হুমকির ঘটনায় সর্বত্র চলছে আলোচনা ও সমালোচনা। জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকাসহ অনলাইন পোর্টালে স্ব-চিত্রসহ সংবাদে টক অব দ্যা শহরে পরিনত হয়েছে।
বন্দর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হারুন অর রশিদ বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের অবশ্যই আইনের বিধি মোতাবেক তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অপরাধী যেই হোক কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। এলাকাবাসী জানান, সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী উন্নয়নের একজন মডেল হিসেবে জানতাম। দ্বিতীয়বার মেয়র হওয়ার পর তার পূর্বের গতি ও ধারা থেকে অনেকটা সরে গেছে। উন্নয়নমূলক কাজের ইজারা দেন বিধি অনুযায়ী কিন্তু কাজের মান হয় নিুমানের। কাজের সাইডে যে প্রকৌশলী থাকে তাদের সামনেই ঠিকাদাররা নি¤œ মানের সাম্রগী দিয়ে কাজ করেন। কেউ প্রতিবাদ করার চেষ্ঠা করলে তাকে চাঁদাবাজির মামলা দেয়ার হুমকির অভিযোগও রয়েছে অহরহ।
লতিফ হাজী মোড়- বাগবাড়ি সংযোগ সড়ক ড্রেনসহ আরসিসি রাস্তা নির্মানের কাজে পুরাতন ইট ব্যবহার, ড্রেনের দুই পাশে বালু দিয়ে ভরাটের কথা সিডিউলে থাকলেও মাটি দিয়ে ওই কাজ স¤পন্ন করা হচ্ছে। কেউ সিডিউল দেখতে চাইলে ঠিকাদারের ভাড়াটিয়া বিএনপির ক্যাডাররা তাদের হুমকি দেয়। নাসিক মেয়র উন্নয়ন কাজে কোন অনিয়ম করলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন করে থাকেন। কিন্তু কিছু প্রতিষ্ঠানের কাজ নিয়ে তার ওই ভূমিকার দেখা মিলে না। যে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হচ্ছে তা স¤র্পন্ন হওয়ার পূর্বেই ভেঙ্গে যাচ্ছে। সকল ক্ষেত্রে অনিয়ম কেউ যেন দেখার নেই। যা মেয়র আইভীর বদনাম হচ্ছে। ঠিকাদাররা বিএনপির ক্যাডার দিয়ে কাজ করান আর বদনাম হয় মেয়রের। যে মেয়র আইভী বিএনপি- জামায়াত পন্থী।
বন্দর শহর এলাকায় ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর যে সুনাম ছিল তা এ সমস্থ ঠিকাদারদের জন্য নষ্ঠ হচ্ছে। বিষয়গুলো তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী স্থানীয় সচেতন মহলের। উল্লেখ্য যে, নাসিকের উন্নয়নমূলক কাজে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে বাদ সাধে ঠিকাদার হিরুর ভাড়াটিয়া বাহিনী সাঈদ, শাহীন ও হিরুসহ ৪/৬ জন। কাজের সিডিউল দেখতে চাইলে ও জানতে চাইলে বন্দর প্রেসক্লাবের অর্থ স¤পাদক, সাংবাদিক স্টাফ ইমরান মৃধাকে তারা হুমকি দেয়। এ ঘটনায় তিনি নিজে বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ্য পূর্বক বন্দর থানায় অভিযোগ করেছে।
সূত্র মতে, বন্দরের পূর্বপাড়া মোড় হতে বাগবাড়ি সংযোগ সড়কের ড্রেনসহ রাস্তা নির্মানের টেন্ডার দেয় সিটি কর্পোরেশন। আল মিজান এন্ট্রারপ্রাইজ প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকায় কাজটি পায়। কাজের শুরু থেকেই হিরু স্থানীয় বিএনপির কিছু লোকজন গ হয়েছে। সূত্র মতে, বন্দরের পূর্বপাড়া মোড় হতে বাগবাড়ি সংযোগ সড়কের ড্রেনসহ রাস্তা নির্মানের টেন্ডার দেয় সিটি কর্পোরেশন। আল মিজান এন্ট্রারপ্রাইজ প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকায় কাজটি পায়। কাজের শুরু থেকেই হিরু স্থানীয় বিএনপির কিছু লোকজন দিয়ে কাজের সাইড পরিচালনা করে। সোমবার দুপুরে পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে বাধা দেয়। বড়বাড়ি এলাকার সফিউদ্দিন মিয়ার ছেলে সাঈদ, কবিলের মোড় এলাকার শাহীন ও মদনগঞ্জ এলাকার হিরু সহ ৪/৫ জন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তথ্য দিয়ে বা নিউজ করে কি হবে বলে ইমরান মৃধাকে নানা প্রকার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়। এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।