বন্দরে সোর্স আনিস হত্যা মামলা নিয়ে ধুম্রজাল

নারায়ণগঞ্জ বার্তা ২৪ ( বন্দর প্রতিনিধি ) : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে চাঞ্চল্যকর হাফেজ আনিস হত্যা মামলা নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। লৌমহর্ষক এ হত্যাকান্ডের ২ মাস অতিবাহিত হতে চললেও মামলার মূল হোতারা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। এ ব্যাপারে আনিসের বড় ভাই কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রার্থী মহিউদ্দিন শিশির সংবাদিকদের জানান, হাফেজ আনিস হত্যা মামলাটিকে নিয়ে তৃতীয় একটি পক্ষ কলকাঠি নাড়ছে।

কেননা প্রকাশ্য দিবালোকে আমার ভাইকে একটি মন্দিরের ভিতরে নৃশংভাবে হত্যা করা হলো, থানায় মামলা দায়ের হওয়ার পর বন্দর থানা পুলিশের আন্তরিকতায় আমরা সুবিচার পেতে বসেছিলাম অথচ এরই মধ্যে আমাদের কোনপ্রকার আগ্রহ ছাড়া কার কথায় কার ইশারায় সেই মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে তার কোন রহস্য খুঁজে পাচ্ছিনা। আমি আমার ভাই হত্যার সু-বিচার চাই। প্রশাসনের কাছে আমার একটাই চাওয়া আমি আনিসের প্রকৃত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

শিশির আরো জানান, মামলাটি অদৃশ্য শক্তির বলে আমাদের গোটা পরিবার চরম নিরাপত্তাহীণ শংকার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। খুনীরা আমাদের আশে পাশের ঘুরে বেড়াচ্ছে রাতে ঘুমাতে পারিনা। খুন হয়েছে আমার ভাই অথচ আমরাই এখন ভয়ে তটস্থ। আতংকে আছি প্রশাসনের অসহযোগিতা দিনে দিনে যেভাবে বেড়ে চলেছে পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় গিয়ে দাড়াবো। মামলা বাদী মোঃ জামান জানান, আনিস হত্যা মামলাটি যতদিন বন্দর থানা পুলিশের অধীনে ছিল ততদিন আসামীরা আড়ালে আবডালে ছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ আলমগীর হোসেন আন্তরিকভাবে মামলাটি পরিচালনা করে আসছিলেন। কললিষ্ট অনুযায়ী হত্যাকারীদের শনাক্ত করে তাদেরকে গ্রেফতারের তৎপরতা চালিয়েছিলেন। বন্দর থানার ওসি সাহেবও যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখিয়েছেন কিন্তু আমাদের কোন সম্মতি ছাড়াই হঠাৎ করেই হত্যাকান্ডের মাত্র ১ মাসের মাথায় মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তরের কোন মানে খুঁজে পাচ্ছিনা।

সিআইডির আইও শাহ আলম সাহেব আমাদেরকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেনা। সে তার মনগড়াভাবেই মামলাটি তদন্ত করছেন। একটি মামলার তদন্ত মনগড়াভাবে চলতে পারেনা। বাদীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে আইও কাজ করছে। এটি বন্দর থানায় না হলেও ডিবিতে হস্তান্তর চাই।

add-content

আরও খবর

পঠিত